| মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। তাদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। তাদের নেটওর্য়াক দুর্বল হয়ে গেছে। নতুন করে দেশে হামলা চালানোর সক্ষমতা জঙ্গিদের নেই বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব)‘মিট উইথ মনিরুল ইসলাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারওয়ার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমানসহ ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ ও সিটিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মনিরুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তারপরও এদেশে জঙ্গি কার্যক্রম, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংস্থাসমূহের সঙ্গে সমম্বয় রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সমন্বয় আরও মজবুত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে শ্রীলঙ্কায় বর্বর সন্ত্রাসী হামলা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমাদের দেশে এরূপ জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলা চালানোর মতো সক্ষমতা জঙ্গিদের নেই।’
‘যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশের কারাগারে জঙ্গিরা রেডিক্যলাইজড হচ্ছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যাদের নামে মামলা হয়, তাদের পৃথক কারাগারে রাখা হয়। শুধু কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে যখন তাদের আদালতে নেয়া হয়, তখনই অন্যান্য আসামিদের সাথে দেখা হয়। এর বাইরে অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ নেই। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিচারের জন্য দুটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুন্যাল গঠন করা হয়েছে। তাদের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ধর্মভিত্তিক জঙ্গিবাদের আমদানিকারকরা চিহ্নিত হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে যারা আফগানিস্তান গিয়েছিল তারাই দেশে ফিরে ধর্মীয় ও সহিংসতাভিত্তিক জঙ্গিবাদের সূচনা করেছে। প্রথমদিকের এসব আমদানিকারকের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কারো কারো ফাঁসি হয়েছে। কয়েকজন হয়তো পলাতক রয়েছে তবে সবাই চিহ্নিত।’
বাংলাদেশে আইএস’র খলিফা নিয়োগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আইএস এর নিজস্ব দাবি। বাংলাদেশ তাদের কোনো খলিফা নাই।’
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। তারা দীর্ঘদিন এ দেশে থাকলে সোশ্যাল ডিজঅর্ডারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। তাদের দেশে পাঠাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পিপিবিডি
Posted ২১:০৩ | মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain