| মঙ্গলবার, ০৯ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্টায় আমাদেরকে হয় রাস্তায় থাকতে হবে নয়তো জেলখানায়। এই দুটির একটি স্বীকার করে নিতে পারলে আমাদের মুক্তি কেউ টেকাতে পারবে না। মঙ্গলবার(৯অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, নিজের কথা গুলো যদি বলি দলের বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে। সরকারী লোকজন যখন স্বীকার করছে খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো না। তার পায়ের অবস্থা, হাতের অবস্থা,কাধের অবস্থা ভয়ানক খারাপের দিকে চলে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের যে ধরনের প্রতিবাদ করার ধরকার ছিল, যে ধরনের আন্দোলন হওয়ার কথা ছিল আমরা কি তা করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতাদের প্রথমে রাস্তায় নামতে হবে। রাস্তায় আপনারা নামেন দেশবাসী শারা। আগে একদিন এক ঘন্টার জন্য হলেও রাস্থায় নামতে হবে শ্রমিক, ছাত্র, যুবক, সকলকে রাস্থায় নামতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাওলানা ভাষানী হয়তো নাই,আমাদের বেগম জিয়া তো আছে, তারেক রহমান তো আছে, মহা সচিব তো আছে।
আসুন রাস্তায় নামি। হয় আমরা জেলে থাকবো নয়তো রাস্তায়।
বিগত সময়ের ছাত্র আআন্দোলন সর্ম্পকে দুদু বলেন, রাস্তায় নামে নাই আন্দোলন প্রতিষ্টিত হয়েছে এমন ইতিহাস আমার জানা নাই। এদেশে যা কিছু হয়ছে, এবং ভালো কিছু হয়েছে সবি ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। এখনো যদি ভালো কিছু করতে হয় ছাত্রদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সেজন্য তাদের পাশে আমাদের দাড়াতে হবে, তাদের সমস্যা গুলো দেখতে হবে,তাদেরকে যাতে ভূমিকায় আনা যায় সে চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে অপরাজয় বাংলার পাদদেশ সমাবেশ, ডাকসু নির্বাচন এবং এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাবো। ডিজিটাল আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল আইন প্রতিষ্টিত হয়নি বাকশাল প্রতিষ্টিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ২৫জানুয়ারি আমারা যে রক্ষিবাহিনী দেখেছি তা এখন বিন্ন নামে পুলিশে পরিণত হয়েছে। সেই আইনে এখন দেখতে পাচ্ছি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এমন একটা কোর্ট যেখানে মানুষ অসহায় হলে যায়, আর সেই কোর্টের চিফ জাস্টিস কাপড় খুলে পালাতে হয়। আর দেশের এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে পরে আছেন, অথচ তার ফাসির জন্য যতো আয়োজন করা প্রয়োজন করা হয়েছে, যা গোটা দেশের মানুষ জানে। ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের ২৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই স্মরণসভা অনুষ্টিত হয়। স্মরণসভা প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জ্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খাইরুল কবির খোকন, ৯০ এর ডাকসু আমান উল্লাহ আমান, ফজল্লুক হক মনি, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
Posted ১৩:৩৮ | মঙ্গলবার, ০৯ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain