| মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রুমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন। এবার তিনি সাহায্যের হাত বাড়ালেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ চাঁন সওদাগরের দিকে। তার হাতে তুলে দিলেন ব্রেইল মেশিন।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে চাঁন সওদাগরের হাতে তুলে নতুন এই ব্রেইল মেশিনটি তুলে দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নাজমুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ এবং মো. রিয়েল প্রমুখ।
জাকির হোসেন বলেন, ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ।’ যেখানেই দুঃখী মানুষ দেখা যাবে সেখানেই আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াবো।’ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ সবসময় আত্ম-মানবতায় এগিয়ে এসেছে বলেও জানান তিনি।
চার বছর বয়সের সময় গুটি বসন্তে দুই চোখের দৃষ্টি হারানো চাঁন সওদাগরের বাবা মুনছুর আলীকে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ই পাক হানাদার বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে তার মা মারা যান। বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম চাঁন সওদাগর অন্ধত্বের কারণে সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েন। সৌভাগ্যবসত একদিন এক ইংরেজ নারী তার প্রতি সদয় হন। তাকে ঢাকায় নিয়ে একটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। প্রতিভাবান চাঁন সওদাগর সেখানেই দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হন। পাশাপাশি তিনি অন্ধ বিদ্যালয়ে ব্রেইল পদ্ধতিতে বই লেখার প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতায় একটি ব্রেইল মেশিন কিনেন। ওই ব্রেইল দিয়ে তিনি অন্ধদের জন্য কোরআন-হাদিস ও অন্যান্য পাঠ্য বই লিখে এতোদিন জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে তার উপার্জনের উৎস একমাত্র ব্রেইল মেশিনটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে তার আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ব্রেইল মেশিনটি নষ্ট হওয়ার পর থেকেই অর্থ উপার্জনের অভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। তার পরিবারের অসহায়ত্বের সংবাদ জানতে পেয়ে এগিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। নতুন ব্রেইল মেশিন পেয়ে খুশিতে আত্মহারা চাঁন সওদাগর। তিনি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদককে অনেক দোয়া দেন।
Posted ১০:০১ | মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain