শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদক স্বাধীন না হলে মন্ত্রী-এমপিরা টার্গেটে কেন

  |   বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট

দুদক স্বাধীন না হলে মন্ত্রী-এমপিরা টার্গেটে কেন

‘দুদক ততটুকুই স্বাধীন যতটুকু সরকার চায়’ এমনটি হলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা দুদকের টার্গেটে কেন?, এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার  সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি টিআইবির উদ্দেশ্যে পাল্টা এ প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

 গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় বলা হয়, দুদক বিরোধীদের হয়রানি করে, ক্ষমতাসীনদের প্রতি নমনীয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুদক ততটুকুই স্বাধীন যতটুকু সরকার চায়, এমনটি হলে সরকারের এত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের আজকে এত দতন্ত, এত চার্জসিট কেন? সরকারের অনেক এমপি, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক দর্নীতির অভিযোগ এনেছে। যদি দুদক স্বাধীন না হতো তাহলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা কেন টার্গেট হবে? তাদের (টিআইবি) কাছে আমার পাল্টা প্রশ্ন।’

ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তবে মার্চে মাসে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবস্তা খুব বেশি। আপনার জানেন, মুজিববর্ষের ক্ষণ গণনা চলছে। আর ১৭ না ১৮ দিন বাকি রয়েছে। মুজিববর্ষে বিদেশি অতিথিরাও আসবেন। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলছে। প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায় এখন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আমাদের খুব জরুরি বিষয়। এটা যোগযোগের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়। কারণ, মুজিববর্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে অনেকেই যাবেন। সে যাত্রার সময় বাঁচানো ও সহজ করার বিষয় রয়েছে। এটা অত্যান্ত দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে। এর কাজ শেষ হয়েছে, এখন উদ্বোধন হবে।’

‘তবে প্রধানমন্ত্রী কর্মব্যবস্ততার কারণে আপাতত উনি বিষয়টিতে দুইভাবে ভাবছেন। তিনি ভাবছেন, আগামী ১৭ মার্চ উপলক্ষে বাইরোডে তিনি টুঙ্গিপাড়া যাবেন। তার আগেই ১১-১২ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করবেন। ঢাকা-ভাঙ্গা যে এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে, সে রাস্তা ধরে প্রধানমন্ত্রী হেলিকাপ্টারে না গিয়ে বাইরোডে টুঙ্গিপাড়া যাবেন। সেটাও চিন্তাভাবনা আছে।’

খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘করাপশন ইজ করাপশন। এটা ২০০ কোটি না ২ কোটি এটা আমি দেখব না। যখন আপনারা ন্যায়বিচারের দিকে যাবেন তখন করাপশনের পারসেপশনটা নিয়ে ভাববেন তখন আপনি কী ভাববেন? এ ক্ষেত্রে টাকার অংকটা ভাববেন না, করাপশনটা হয়েছে সেটা দেখবেন।’

‘এখানে টাকার অংক ২০০ কী দুই সেটা কোনো বিষয় না। বিষয়টা হচ্ছে করাপশন হয়েছে কি না? টাকার অংক দিয়েতো দুর্নীতি পরিমাপ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে একই সঙ্গে এতিমের অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এটা কত টাকা, এটা কোনো বিষয় নয়। বিষয়টা হচ্ছে এখানে মারাত্মক একটা দুর্নীতি হয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:০৭ | বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com