শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দারোয়ান-গৃহকর্মী নিয়োগ দিলে পুলিশকে জানানোর আহ্বান

  |   বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট

দারোয়ান-গৃহকর্মী নিয়োগ দিলে পুলিশকে জানানোর আহ্বান

ঢাকার কোনো বাসাবাড়িতে নতুন দারোয়ান, গৃহকর্মী বা মালি নিয়োগ দিলে তা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।

ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরি প্রতিরোধে বুধবার বিভিন্ন সময় রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত চাপাতি, চাকু, ছোরা, হাইড্রোলিক কাটার, তালা ভাঙ্গার রড, হাতুরি, প্লাস, স্ক্র ড্রাইভার, হেসকো ব্লেড, গ্রিল ও তালা কাটারসহ বিভন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. অপু, মো. রজব আলি, মো. রাসেল ওরফে রুবেল, মো. ইউনুস আলী, মো. সাইফুল ইসলাম, মুরাদ শিকদার, মো. নয়ন, মো. পারভেজ, মো. সিরাজুল ইসলাম, রাকিব হাসান ওরফে কনক, মো. ইব্রাহিম, মো. আমির হোসেন, মো. মাইনুদ্দিন ওরফে কালু, মো. রনি, মো. রুবেল হাসান, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. অন্তর মিয়া, মামুন হোসেন, মো. ওয়াজিব হোসেন, আসামি শাওন, শাকিল ওরফে লাদেন, রবিন, হাবিবুর রহমান, নুর আলম বাবু ওরফে পিচ্চি বাবু, রমজান, মো. রুবেল হাওলাদার, মো. শাহিন, মো. নয়ন মিয়া, মো. সোহেল খান, মো. বাদল বিশ্বাস, আহাম্মদ আলী মাতব্বর ওরফে পিচ্চি, মো. আলমগীর ও মো. রফিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের নিয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় ডিএমপির পক্ষ থেকে।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, শীতকাল আসলে দোকান, বাসাবাড়ি ও মার্কেটে ডাকাতি ও চুরি বেড়ে যায়। এটা প্রতিরোধের লক্ষ্যে ডিবির ৩২টি টিম একযোগে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান বলেন, সকলে সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা যাবে। বিশেষ করে কারো বাসায় নতুন দারোয়ান বা মালি নিয়োগ দিলে, তা যেন নিকটবর্তী থানাকে অবগত করা হয়। তাহলে বাসা-বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনাগুলো কমে আসবে। অথবা চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো ঘটলে তাদেরকে সহজেই গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে বাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেয়া হয়। কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, বাসায় প্রবেশের ক্ষেত্রে চোরেরা কিচেন ও বাথরুমের পেছনের অংশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করে থাকে। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। যারা আর্থিকভাবে সামর্থবান তারা বাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারেন। জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ‘এরপরও যদি এমন ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে পুলিশকে অবগত করুন। যে কোন ঘটনা নিয়েন্ত্রণে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’-যোগ করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২১:১২ | বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com