| সোমবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সম্পদ ১০ বছরে ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে ব্যাংক ব্যালেন্স, শেয়ার, নগদ টাকার পরিমাণ।
তবে এই ১০ বছরে তিনি ভুলেছেন স্ত্রীর স্বর্ণের মূল্য, যা তার জানা নেই। ২০০৮ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নুরুল ইসলাম নাহিদের দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালে নাহিদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৮ টাকার। এবার এ সম্পদের পরিমাণ ৬ দশমিক ২০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৫ টাকা।
২০০৮ সালের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণের কথা উল্লেখ করলেও এবারের হলফনামায় বলেছেন স্ত্রীর স্বর্ণের মূল্য তার জানা নেই। ২০০৮ সালে নাহিদের হাতে নগদ ছিল ৪৭ হাজার টাকা।
এবার আছে ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৫ টাকা। ২০০৮ সালে নাহিদের ব্যাংকে ছিল ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৯ টাকা। এবার আছে ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৮৩ টাকা। ২০০৮ সালে সঞ্চয়পত্র ছিল নিজ নামে ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৪১২ টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৮ টাকার।
এবার আছে নিজ নামে ২০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। ২০০৮ সালে কোনো গাড়ির কথা উল্লেখ না থাকলেও এবার ৫৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩২১ টাকার গাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের সমপরিমাণ ৭৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার এবারও আছে নাহিদের।
২০০৮ সালে ইলেকট্রনিক সামগ্রী ছিল ১ লাখ টাকার। এবার রয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী। তবে বৃদ্ধি পায়নি আসবাবপত্রের পরিমাণ। ২০০৮ সালে যা ছিল তাই আছে। উভয় হলফনামায় উল্লেখ করেছেন নাহিদের নামে ৪৫ হাজার ও স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
২০০৮ সালে ঢাকায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ কাঠা জমি রয়েছে উল্লেখ করেছিলেন। এবার উল্লেখ করেছেন ৫ কাঠা বা ০.০৮২৫ একর, যার মূল্য ২১ লাখ ৮ হাজার ৪৪০ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় নাহিদ উল্লেখ করেছিলেন বিভিন্নজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত দান হিসেবে পেয়েছিলেন।
এর মধ্যে ছিল স্ত্রী কেইউ জোহরা জেসমিনের কাছ থেকে ১ লাখ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই ডা. নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫ লাখ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী চাচা হাজী মাহমুদ আলীর কাছ থেকে ১ লাখ, ড. আহমদ আল কবীরের কাছ থেকে ২ লাখ ও কামাল আহমদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা পেয়েছিলেন।
Posted ১৪:৪৫ | সোমবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain