| বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
দল বা সরকার বিব্রত হয় এমন কথা বা কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনই অনুমোদন করেন না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সচিবালয়ে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। ‘ডা. মুরাদ বলতেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই বিভিন্ন মন্তব্য করেন’- সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে কিছু বলেছেন বলে আমার জানা নেই। আমি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেও কাজ করেছি। দল বা সরকার বিব্রত হয় এমন কোনো কথা বা কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রী কখনো কারও জন্যই অনুমোদন করেন না। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র মন্ত্রিপরিষদে পৌঁছেছে। আমি তার সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনা করি। তার এই ঘটনাগুলো আসলে দুঃখজনক।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি আমাদের কোনো কাজে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াননি বরং ডা. মুরাদ হাসান আমাকে সবসময় সহযোগিতা করে এসেছেন। সে জন্য তাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে তার মধ্যে আমি কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। তার কিছু বক্তব্য ও ঘটনা সরকার এবং দলকে বিব্রত করেছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করার জন্য বলেছেন এবং সে অনুযায়ী তার স্বাক্ষরিত পদত্যাগপত্র তার জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি ইতিমধ্যেই তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়ে গেছেন। ডা. মুরাদ হাসানের দলীয় সদস্য পদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি যেহেতু জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, দলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেটি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ বলতে পারবে। সংসদ সদস্য পদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য এবং বিষয়টি জাতীয় সংসদের।
Posted ০৯:৪১ | বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain