| সোমবার, ০৯ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
রফিকুল ইসলাম কামাল, সোমবার, ০৯ জুন ২০১৪ : গ্র“পিং, কোন্দল আর দ্বিধা-বিভক্তিতে জর্জরিত সিলেট ছাত্রদলকে একই প্লাটফর্মে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলনেতা তৌহিদ হত্যাকান্ড। বুধবার রাতে তৌহিদ খুন হওয়ার পর থেকেই সকল বিভাজন ভুলে এক হয়ে গেছে সিলেট ছাত্রদলের সকল গ্রুপ। তৌহিদ হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে ঘোষিত সকল কর্মসূচি একই কাতারে দাঁড়িয়ে পালন করেছে সিলেট ছাত্রদল। আগামীতেও সকল কর্মসূচি দ্বিধা-বিভক্তি কাটিয়ে একসাথে পালন করবে সিলেট ছাত্রদলের সকল গ্রুপ এমন আভাসই মিলছে।
গত বুধবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্রদলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নং কক্ষে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে ওসমানী হাসপাতালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের ২০ নেতা-কর্মীর নামে হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন দে’কেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকেও ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
তৌহিদুল হত্যাকান্ডের পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট ছাত্রদলের সকল গ্রুপ মিলিতভাবে ওসমানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরদিন তৌহিদের জানাজায়ও সকল গ্রুপকে একসাথে দেখা যায়। তাছাড়া তৌহিদ হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে ঘোষিত তিনদিনের কর্মসূচিও সিলেট ছাত্রদলের আব্দুল আহাদ খান জামাল গ্রুপ, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ গ্রুপ, মাহবুবুল হক চৌধুরী গ্রুপ, শাকিল মুর্শেদ গ্রুপ, রেজাউল করিম নাচন গ্রুপ, মকসুদ আহমদ গ্রুপসহ অপরাপর বিভক্ত সকল গ্রুপকে একই প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে পালন করতে দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ ঘটনার পর দ্বিধাবিভক্ত ছাত্রদল একই কাতারে দাঁড়িয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে আবারও গ্র“পিং-কোন্দলে জর্জর হয়ে পড়ে সিলেট ছাত্রদল। কিন্তু তৌহিদ হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে আবারও বিভক্তি ভুলে একই সুরে কথা বলছে সিলেট ছাত্রদল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এও বলছেন, সিলেট ছাত্রদলের এই বিভেদ ভুলে থাকা অবস্থায় কতোদিন টিকে সেটাই হবে দেখার বিষয়।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও জেলা সহ সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, তাওহীদকে যেভাবে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে তা কোন সভ্য জাতি মেনে নিতে পারে না। তাওহীদ ছাত্রদলের নিবেদিতপ্রাণ ছিল। তাই তার মৃত্যুতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নেমেছে। তাওহীদের সকল খুনি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে না।
Posted ১০:০৫ | সোমবার, ০৯ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin