শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানো জনগণকে শোষণের আরেকটি অস্ত্র:মোশাররফ হোসেন

  |   শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট

তেল-গ্যাসের দাম বাড়ানো জনগণকে শোষণের আরেকটি অস্ত্র:মোশাররফ হোসেন

দেশের জনগণকে শোষণ করতে তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের আরেকটি অস্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

 

তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা আমরা এই সভা থেকে তীব্র বিরোধিতা করি। তারা জনগণের সরকার নয়। তারা তেলের দাম বৃদ্ধি করছে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে।

 

শুক্রবার  জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আমাদের শোষণ করছে। আরেকটা শোষণের অস্ত্র আমরা দেখলাম। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বড় বড় প্রজেক্ট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে, আর নয়। গ্যাসের দাম আর বৃদ্ধি করা যাবে না। এই অনাচার থেকে রক্ষা পেতে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করি।

 

দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপিকে দায়িত্ব নিতে হবে। যদি আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে না পারি, তাহলে আর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব না।

 

 

 

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল এখন পর্যন্ত দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তার প্রমাণ, ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আওয়ামী লীগ দেখলো, দিনে যদি জনগণ ভোট দিতে পারে, তাহলে তাদের কোনো পাত্তাই থাকবে না। এজন্য তারা প্রশাসনকে দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছে। এটা বাংলাদেশর সবাই জানে। এভাবেই তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রশূন্য করে ফেলেছে।

 

তিনি বলেন, এই সরকার আমাদের মিটিং মিছিলে নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। আমাদের সীমিতভাবে মিটিং করতে বাধ্য করছে সরকার, যাতে এগুলো জনগণের সামনে প্রকাশিত না হয়। সরকার স্বৈরাচারি আচরণ করছে। কিন্তু সরকারের এই অরাজকতা ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমেরিকার গণতান্ত্রিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

 

অর্থাৎ বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র নেই, তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সারাবিশ্ব জেনে গেছে এদেশে মানবাধিকার নেই। এটা কোনোভাবেই গৌরবের বিষয় নয়, জাতিগতভাবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।

 

তিনি আরও বলেন, যেদেশে গণতন্ত্র নেই, সেদেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। আজকে মানবাধিকার লঙ্ঘিত। আমরা গুমের হিসেব দিয়েছি, বিচারবহির্ভূত হত্যার হিসাব দিয়েছি। বিএনপির বিরুদ্ধে এক লাখেরও বেশি মামলা, ৩৬ লাখের মতো আসামি। আওয়ামী লীগ মনে করেছে, আমরা নির্যাতন করে মুখ বন্ধ রেখে পার পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তারা পার পায়নি।

 

ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, রফিকুল আলমসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্যরা।,

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৯:১৫ | শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com