| শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে উত্তরে তিস্তা নদীর মোহনা পর্যন্ত ১৪৬ কিলোমিটার নদীতে বাধ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজটি শুরু করেছে। বাধ নির্মানের কাজ শেষ হলে বাধের উপর দিয়ে পাঁকা রাস্তা নির্মান করা হবে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটির নির্মান কাজ শেষ করবে। এই প্রকল্পটি শেষ হলে একদিকে যেমন যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পাবে, তেমনি পাকা রাস্তা দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে এই অঞ্চলের মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারবে। বর্তমান সরকার এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর।
জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারই দেশের উন্নয়নে কাজ করে এবং করে যাচ্ছেন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার সময় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, তাদের ক্ষতিপূরনের জন্য ইতিমধ্যে জরিপ কাজ চালানো হচ্ছে। শুধু বাড়িঘর, ফসলি জমিই নয়, মসজিদ, মন্দির, স্কুল-কলেজ সহ যে সকল প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হবে, সেগুলোকে পুন নির্মান করা হবে। তিনি আরো বলেন, কাজিপুরে একটি নার্সিং ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থান প্রস্তাবনায় আনা হয়েছে। যে কোন একটি স্থান নির্ধারন করে আগামী বছরের মধ্যে নির্মাজ কাজ শুরু করা হবে।
শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে নদীতীর সংরক্ষন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যেগ্যে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ইসিআরসি’র প্রকল্প পরিচালক সরদার সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বগুড়া জেলার শেরপুর-ধুনাট আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক মোখলেসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন, কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল হাসান প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় বিভিন্নস্থান থেকে আগত প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
Posted ১৪:০৯ | শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin