| শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক’ বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, “যদি তারেকের এই বক্তব্য মূর্খতাবশত হয়, তাহলে এর জন্য ১৮ দলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় মামলার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।”
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ কথা বলেন। তারেক রহমানের বক্তব্যের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নয়, বরং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার পরামর্শ দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এই ধরনের বক্তব্য শুধু তারেক রহমানের অর্বাচীনতা বা মূর্খতা-কিছুই নয়। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যা পড়িয়েছে, সে তাই বলছে। যদি তারা ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করে, তাহলে সরকার একভাবে দেখবে। অন্যথায় মামলার মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হবে, এটাই বাঙালি জাতির প্রত্যাশা।”
সুরঞ্জিত বলেন, “সংবিধানে ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ নেই। ৭ মার্চ দেয়া বন্ধুর ভাষণ সংবিধানের অংশ, স্বাধীনতার ঘোষণাও সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ এর বিকৃতি করলে সেটা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এর শাস্তি হবে সর্বোচ্চ। আমাদের সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, কে দেশের স্বাধীনতার ঘোষক।”
তারেকের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “তিনি কি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পড়ে দেখেছেন? আইনসম্মতভাবে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন। বিএনপিতে অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি আছেন। তারা এখন এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না, খুলতে পারবেনও না।”
সংগঠনের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাংসদ শিরিন নাঈম, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
Posted ১২:৩৪ | শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin