| বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতা লাভের পর ২০১৩ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হলেও লজ্জা পাননি বিতর্কিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তার ছলচাতুরির রায়ের কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভীত কেঁপে উঠলেও তার লজ্জা হয়নি। তবে এবার তিনি লজ্জা পেয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি ‘লজ্জিত’ হয়েছেন।
গতকাল বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক সেমিনারে খায়রুল হক বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে, মুসলমান হিসেবে আমি লজ্জিত।’
তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যারা হামলা করছে, তারা দুষ্কৃতকারী। তাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে বলে আমি স্বীকার করি না। তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’
খায়রুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এবং পরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক। আমরা এমন একটি দেশে বাস করি, যেখানে আমরা প্রতিবেশীর কোনো সুরক্ষা নেই। দেশের জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জিত।’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করতে বাধ্য তিনি হয়েছেন।
খায়রুল হক বলেন, ‘আমরা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ আমাদের সংবিধান ও আইন তিন মাসের জন্য জনগণের শাসন থাকবে না, এটা সমর্থন করে না।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা তো নয়ই, প্রবহমান রাখাই ছিল এ রায়ের একমাত্র উদ্দেশ্য। রায়টি পড়লেই এটা বুঝতে পারবেন। সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই দেশের একমাত্র মালিক। জনগণের ইচ্ছা অনুসারে এই দেশ পরিচালিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের সার্বভৌমত্ব চির বহমান। এটা একদিনের জন্যও স্থগিত রাখা যায় না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে যখন হত্যা করা হয়, তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট জনসন একটা প্লেনে ছিলেন। তাকে ওয়ারলেসে শপথ পড়ানো হয়। তাকে আধাঘণ্টাও সময় দেয়া হয়নি।’
সেমিনারে ‘বৈষম্য বিলোপ আইন-২০১৪’ নামে একটি খসড়া আইন উপস্থাপন করেন আইন কমিশনের প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা ফওজুল আজিম। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি খায়রুল হক। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
Posted ১১:১৩ | বুধবার, ০৮ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin