| শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, বদরুদ্দোজা চৌধুরী পরিত্যক্ত নেতা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনেক বড় রাজনীতিবিদ তারা। কিন্তু পাঁচশত লোক নিয়েও সমাবেশ করতে পারেন না।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাতে বসে মিটিং করে কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা এখন জনগণের কাছে পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ এ পরিণত হয়েছেন। আপনাদের এমপি হওয়ার যোগ্যতা ও নাই। এর আগে নির্বাচনে অনেকেই জামানত হারিয়েছে। তারা রাত-বিরাতে মিটিং করে খবরের জন্ম দিচ্ছেন বটে, নির্বাচন এলে দেখা যাবে খালেক ভাই আর বাবলা ভাইয়ের কাছে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। এদের এসব দৌড়ঝাঁপে কোনও লাভ হবে না।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করার কথা বলে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করার লজ্জা মির্জা ফখরুল ঢাকতে পারছেন না এমন দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা জাতিসংঘে যাচ্ছেন। পত্রিকায় খবর দেওয়া হলো জাতিসংঘ মহাসচিব নাকি তাদের ডেকেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব এখন আফ্রিকায় আর তিনি নাকি তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ডেকেছেন। আর দেখা করলেন তারা জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবকে যখন জিজ্ঞেস করা হলো কী আলোচনা হয়েছে, আমতা আমতা করে কিছু বলতে পারলেন না। অর্থাৎ জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য তারা জাতিসংঘে গেছেন আর সেখানের সর্বনিম্ন টায়ারের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি।
বিএনপির লবিস্ট ফার্মকে দেওয়া অর্থের উৎস তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। ২০ হাজার ডলার এরই মধ্যে দিয়েছেন, প্রতিমাসে তাদের ৩৫ হাজার ডলার করে দিতে হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ জানাবো, যেহেতু বিএনপি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এটা এসেছে। এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ৩৫ হাজার ডলার প্রতিমাসে দেওয়া কিংবা ২০ হাজার ডলার কোথা থেকে দেওয়া হলো? এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এই টাকা বাংলাদেশ থেকে কীভাবে যায়, বিএনপিকে সেই হিসাব দিতে হবে।
Posted ২২:৩৬ | শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain