| শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসী এবং সিটি কর্পোরেশনকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’
শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশা নিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর গুলশান-২ শাহাবুদ্দিন পার্কের পিছনে এ অভিযান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘নাগরিকরা যদি তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন না করে। সিটি কর্পোরেশন একক প্রচেষ্টায় সব সমস্যার সমাধান করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবে না। আমরা নিজেরাই যদি অসচেতন হয়ে মশার প্রজননে সহায়তা করি, তাহলে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে কী করে মশামুক্ত নগর উপহার দেওয়া সম্ভব? তাই সবাই মিলে একত্রে কাজ না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।
তিনি বলেন, ‘উভয় সিটি কর্পোরেশনে দশ জন করে ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে জমে থাকা পানি পাবে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কাউন্সিলর নেতৃত্বে এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সরকারি কর্মকর্তা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম এবং এনজিও কর্মীদের নিয়ে কমিটি করে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে দশটি সাব জোনে ভাগ করে একত্রে কাজ করায় গত বছর সাফল্য এসেছে।
বিষয়টি উল্লেখ করে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র-কাউন্সিলরা যখন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই কমিউনিটি এবং নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবে। সবক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততা করতে পারলে কোনো চ্যালেঞ্জই চ্যালেঞ্জ মনে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মত অবস্থায় আসেনি। এডিস মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। অল্প সংখ্যক ডেঙ্গু রোগীও পাওয়া যাচ্ছে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু মারাত্মক রূপ নিলে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
Posted ১৭:২৪ | শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain