| রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
চলতি মাসেই ব্রিটিশ সরকারের ছাড়পত্র পেতে পারে অক্সফো-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকা। তবে তার আগে এই টিকা মানবদেহের জন্য সুরক্ষিত কি না তা প্রমাণিত হতে হবে।
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মেডিসিন্স অ্যান্ড হেল্থকেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইআরএ) কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। আগামী ২৮ বা ২৯ ডিসেম্বর ওই রিপোর্ট অনুমোদন করতে পারে এমএইআরএ। ওই সংস্থার সবুজ সঙ্কেত মিললেই আগামী বছরের গোড়ায় এই টিকা বাজারে আসতে পারে। প্রসঙ্গত, মানবদেহে এই টিকার প্রয়োগ সুরক্ষিত কি না, এমএইআরএ-কে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।,
করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তবে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ছাড়পত্র পেলে তা বহু অঙ্কই পাল্টে দিতে পারে। কারণ, বায়োএনটেক-ফাইজারের টিকার মতো একে হিমশীতল ঠান্ডায় সংরক্ষণ করতে হয় না। ফলে তা সরবরাহ করা বা বিভিন্ন দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক। ফলে এই টিকায় অনুমোদন মিললে তা বিশ্বের বহু দেশই প্রয়োগ করতে আগ্রহী হবে। ভারতে ইতিমধ্যেই এই টিকার ৫ হাজার কোটিরও বেশি ডোজ উৎপাদন করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।,
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্তারা আরও জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। সেই সঙ্গে ফাইজারের টিকার মতো তিন সপ্তাহের ব্যবধানের বদলে এটির প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ৪ সপ্তাহের ব্যবধান রাখতে হবে।
বিভিন্ন বয়সের মধ্যে এর প্রতিরোধ ক্ষমতার রকমফের হওয়ার কারণে এটি অনুমোদনে দেরি হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। তবে সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, দু’টি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায় এর প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি হবে। অক্সফোর্ডর-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাজারে এলে প্রথম ৪০ লক্ষ ডোজ নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানিকে সরবরাহ করা হবে। তবে বেশির ভাগ ডোজই ব্রিটেনে উৎপাদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
Posted ১২:০৫ | রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain