| মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে অন্য নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। ডাকসু নির্বাচন ছাত্রদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। এই নির্বাচন দ্বারা ছাত্রদের অধিকার আদায় করা হয়। তিনি বলেন, আমি হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাই যে হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন করার আদেশ দিয়েছে। নয় তো ডাকসু নির্বাচন হতো না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। দীর্ঘ ১২ বছর আওয়ামীলীগ সরকার গায়ের জোরে আমাদের ছাত্রদের ক্যাম্পাসে দাড়াতে দেয় নাই। এমনকি তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে রাখা হয়েছে। ডাকসুতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছে, ডাকসু নির্বাচনে সহাবস্থানের পরিবেশ রাখা হবে। ছাত্রদল হলে যেতে পারছে না। তাদেরকে প্রশাসন দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হেনেস্তা করা হচ্ছে। এমনকি তারা কোন জায়গায় বসতে পারছে না। তাহলে কি এটাকে সহাবস্থান বলে।
তিনি সোমবার চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এর মুক্তবাক অনুষ্ঠানে আরো বলেন, ছাত্রদলের কর্মী লোপাকে ভোটার লিষ্ট থেকে বাদ দিয়ে ভোটার লিষ্ট প্রণয়ন করা হয়েছিলো। অথচ সে ইন্টারন্যাশনাল রিল্যাশনের নিয়মিত ছাত্রী। কর্তৃপক্ষ বলেছে, বর্তমান যে ভোটার লিষ্ট তা প্রণয়ন করা হবে ৫ই মার্চ আর মনোয়ন পত্র জমা দেওয়ার লাষ্ট সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি। মনোয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে তো ভোটার লিষ্ট প্রকাশ হয় অথচ তারা তা না করে উল্টো করছে । যেনো একজন ভোটারকে মনোয়ন দেওয়া হতে বিরত রাখা যায়।
তিনি আরো বলেন, কর্তৃপক্ষ প্রথমে বলেছে নিয়মিত ছাত্র ছাড়া ইভিনিং ছাত্ররা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আর এখন ছাত্রলীগকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ইভিনিং ছাত্রদেরও সুযোগ দিচ্ছে। অথচ ইভিনিং এ ভর্তি হতে গেলে কর্তৃপক্ষ আমাদের ছাত্রদের ভর্তি হতে দেয়নি। এটা তো কোন অবস্থায় সহাবস্থান না। এখানে বলা হয়েছে ভোটাররা ছাড়া অন্য কেউ ক্যাম্পেইন করতে পারবে না। ইতিপূর্বে এই নিয়ম ছিলো না। ডাকসু নির্বাচনে সবসময় জাতীয় নেতৃবৃন্দরা ভোট চাইতো।
Posted ১৪:০৬ | মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain