| রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের বংকিরা,রাঙ্গেরপোতা, মাটিকুমড়া, সাধুহাটি ও সাইভাঙ্গাবিলে প্রভাব শালীদের অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করাই ৫/৬শ বিঘা জমির ধান পানিতে ভাসছে।২দিনের বৃষ্টিতে এসব বিলের সব ধান তলিয়ে গেছে বলে কৃষকরা জানান। এতে এলাকার প্রভাব শালীদের বিন্দু মাত্র আফছোচ নেই বলে কৃষকদের অভিযোগ।
ক্ষেতের পর ক্ষেত পানিতে ডুবে আছে আবার কোথাও ধান গাছ গুলো গলা ভাসিয়ে দাড়িয়ে আছে। এমন অবস্থা থাকলে ক্ষেতের ধান পঁচে যাবে। আর যে গুলো পাকা ধান সে গুলো কলিয়ে যাবে।কৃষক বসির উদ্দীন জানান, নুন আনতে পান্তা ফুরানো কৃষকরা বুকচাপড়িয়ে দু,চোখের পানি ফেলাছাড়া আর কিছু করার নেই। এই এলাকার কৃষকের প্রধান ফসল ধান।কৃষক হছেন আলী জানান, যুগযুগ ধরে এই মাঠের কামাই আমরা খেয়ে বেঁচে আছি। এলাকার সিংগহভাগ খাদ্যার ঘাটতি পুরণ করে থাকি এই বিল থেকে। কিন্তু এই মাঠ এখন পানির নিচে তলিয়ে আছে।এবার অমাদের কি হবে। প্রভাব শালীরা অপরিকল্পীত ভাবে পুকুর খনন করে আসছে। ফলে জলাবদ্ধাত সৃষ্টি হয়ে ২ দিনের বৃষ্টিতে ৫ থেকে ৬শ বিঘা জমি ধান এখন পানি ও পানির নিচে।
মাটি কুমরা ওয়ার্ড মেম্বর রুহুল আমিন জানান, এই বিলের পানি রাঙ্গেপোতা খাল হলে মামুনশের ব্রীজ হয়ে চিত্র নদিতে গিয়ে পড়তো। বর্তমানে প্রভাব শলীরা পুকুর খনন করায় খালের মাথা বন্ধ হয়ে ৫ /৬ শ বিঘা জমির ধান নষ্ট হচ্ছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১নং সাধুহাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান কাজি নাজির উদ্দীন জানান, জলাবদ্ধাতার কথা শুনে মাঠ আমি পরিদর্শন করেছি।৫/৬ শ বিঘা জমির ধান জলাব্ধাতার সৃষ্টি হয়ে পানিতে ভাসছে। এর প্রধান কারন অপরিকলিাপত পুকুর খনন।ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন প্রভাব শালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
Posted ০৯:০২ | রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin