শাহরিয়ার মিল্টন | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
শেরপুর : ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এ বছর সরকারিভাবে বিনামূল্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে সরিষা বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করায় সরিষা চাষি বেড়েছে দ্বিগুণ। এ সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের হাতছানিতে এসব কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এবার উপজেলায় ৬৯৪ হেক্টর জমিতে এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে। এ বছর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষদের মাঝে এক কেজি করে সরিষা বীজ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৫০০ জন কৃষক ৩২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছিল। এবার তা দ্বিগুণ হয়ে চাষির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজারের অধিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরিষা ফু লের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে মাঠঘাট। মাঠে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে সরিষা চাষের জমির আশ-পাশ।
উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের কৃষক সামাদ বলেন, ‘সরকারী ভাবে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার পেয়েছি। পরে সরিষার চাষ করেছি। মাঠে বেশ ফুল ফুটেছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে।’
উপজেলার আয়নাপুর গ্রামের কৃষক সুলতান আহমেদ বলেন, ‘এবার এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বেশ ভালো ফুল ধরেছে। সরিষায় ধানের চেয়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও আবাদ করেছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, ‘সরকারিভাবে বিনামূল্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষদের মাঝে ভালো মানের সরিষা বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। এ বছর যে পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। কৃষকের মাঝে পাশাপাশি কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার সরিষার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।’
Posted ১০:৫০ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin