শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জোর করে বিয়ে করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!

  |   রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট

জোর করে বিয়ে করেছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার!

অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে জোর করে এক টিভি উপস্থাপিকাকে বিয়ে করার অভিযোগ ওঠেছে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। চার মাস সংসার করার পর পুলিশ কর্মকর্তার সাজানো মামলায় জেল খাটতে হয় ওই তরুণীকে। এমনকি জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের খবর প্রকাশ করলে হত্যার হুমকি দেন মিজান।

ব্যাংকের উচ্চ পদের চাকরির জন্য বান্ধবির পরিচিত জনৈক এক মহিলার মাধ্যমে মোবাইল ফোনে মিজানের সাথে প্রথম পরিচয় মরিয়ম আক্তার ইকোর। তবে কিছুদিন পরে অশোভন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা এবং রহস্যময় আচরণ সন্দেহ হলে পুলিশ কর্মকর্তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেন মিজান।

ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার ইকোর অভিযোগ গত ১৪ জুলাই ক্ষমা চাওয়ার নাম করে কৌশলে পান্থপথের বাসা থেকে বের করা আনা হয় তাকে। নিজের গাড়িতে ৩’শ ফুট সড়কের পাশে পূর্বাচলে নিয়ে মারধর এবং নির্যাতন করা হয়। পরে চোখ বেধে গাড়ি চালক গিয়াস এবং দেহরক্ষী জাহাঙ্গীরের সহায়তায় বেইলি রোডের এক বাসায় নিয়ে আসা হয় মরিয়মকে।সেখানে তাকে তিন জন মিলে অনেক নির্যাতন করেন।

তিনি আরো জানান, রাতে এক চিকিৎসক বন্ধু এসে ওষুধ খাওয়ানোর পরে অচেতন হয়ে পড়েন মরিয়ম। পরদিন মিজানের বেডরুমে আবিষ্কার করেন নিজেকে।

১৭ জুলাই পর্যন্ত তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতনের সময় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি মরিয়মের। পরে বগুড়া থেকে তার মাকে ডেকে এনে অস্ত্রের মুখে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। উকিল বাবা হিসেবে ছিল গাড়িচালক গিয়াস এবং সাক্ষী করা হয় দেহরক্ষী জাহাঙ্গীরকে। পরে সেখান থেকে লালমাটিয়ার ভাড়া বাসায় রেখে গোপনে ৪ মাস সংসার করেন মিজান।

এরপর সম্পর্কের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে বেইলি রোডের বাসায় ভাংচুরের মামলায় ১২ ডিসেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর কারাগারে যেতে মরিয়মকে। যার চার্জশিট দেয়া হয় মাত্র এক মাসের। ২১ দিনের মাথায় জানুয়ারির মুক্তির আগে ভুয়া কাবিন নামার আরো একটি মামলা দেয়া হয় স্ত্রী মরিয়মের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে যুগান্তরের এক সাংবাদিক বলেন, হাজার মামলা আছে তিন মাস কেন ছয় বছরও চলে যায় চার্জশিট হয় না। এ মামলাটা কেন এক মাসের মধ্যে চার্জশিট হলো? সেটা একটা রহস্যজনক মনে হয়েছে। এ মামলার যে ডকুমেন্টগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো এত নোংরা, বলার ভাষা নাই। যা বাংলাদেশের আইনে প্রচার করার কোন নিয়ম নেই।

নিজের ব্যস্ততার কথা বলে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান।

তবে নির্যাতন এবং বিয়ের ঘটনা প্রকাশ না করার শর্তে মিজান আপোষ করার চেষ্টা করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী তরুণী।

সূত্র – যমুনা টিভি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:৩০ | রবিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com