| রবিবার, ০৪ আগস্ট ২০১৯ | প্রিন্ট
১৫ আগষ্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহত পরিবারের সদস্যদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতার খুনীদের শাস্তি না দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছেন। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে খুনীদের শুধু দায়মুক্তিই দেননি উপরন্তু বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন।
শনিবার (০৩ আগস্ট) লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকেলে কেন্দ্রস্থলের ওয়েস্ট মিনিস্টার এলাকার বিখ্যাত সেন্ট্রাল হলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় যুক্তরাজ্যেরসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যোগদান করেন।
১৯৮১ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে এবং শেখ রেহানাকে ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর সে সময়কার শাসকরা আর দেশে ফিরতে দেয়নি। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর জোর করে দেশে ফিরলেও আমাকে একের পর এক হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বরর নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের প্রতি বিএনপি’র অনীহাই তাদের ভরাডুবির মূল কারণ। তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল আর তাই তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, একটি আসনে ৫/৬ জনকে পর্যন্ত মনোনয়ন দিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তাদের (বিএনপির) অপশাসনে এদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়। তাদের নেতৃবৃন্দ সীমাহীন দুর্র্নীতি, অর্থপাচার এবং এতিমের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গেও যুক্ত ছিল।
এ সময় ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে সরকার উৎখাত এবং নির্বাচন প্রতিহতের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিপুল সংখ্যক জনগণকে হত্যা এবং আহত করারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা একদিন দেশ স্বাধীন করেছিলেন তার বাস্তবায়নই আমার একমাত্র লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমি মৃত্যুকেও ভয় পাই না। তার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণে আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস অবধি কাজ করে যেতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যেই দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা দারিদ্রের হারকে আরো কমিয়ে আনতে চাই। যাতে এই দেশে আর কেউ গৃহহীন না থাকে, ক্ষুধার জ্বালায় যেন কেউ কষ্ট না পায় এবং কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।
সম্প্রতি দেশের ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন ছাড়াও তাঁর দলীয় কর্মীরা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে রয়েছেন।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিষ্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী মুহম্মদ ফারুক খান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।
পূর্বপশ্চিমবিডি
Posted ২২:৩৪ | রবিবার, ০৪ আগস্ট ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain