| রবিবার, ০৫ মে ২০১৯ | প্রিন্ট
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সঠিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা এখনো সংশয় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ৭৫ পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রীসভায় স্থান দিয়ে এর প্রমাণ করেছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতা থেকে রক্ষা করেছেন। কিছু লোক বলে যাচ্ছে তিনি নাকি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। এরা ইতিহাস বিকৃতিকারী। সময় এসেছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার। নতুন প্রজন্মের মধ্যে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।
শনিবার (৩ মে) সকালে কাজী নজরুল অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি জামায়াতের প্রসঙ্গে বলেন, জামায়াত হচ্ছে পাকিস্তানের সৈনিক। তারা পাকিস্তানের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে। ফলে রাজাকার নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বিল পাস করেছে।
বিএনপি জামায়াত পাকিস্তানের মতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বলে বাংলাদেশ ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে নাকি ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন কারাবন্দী খালেদা জিয়াও বলেছেন তখন নাকি মাত্র ৩ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পূর্বে তৃণমূলকে ঢেলে সাজানো হবে উল্লেখ করে হানিফ বলেন- আগামী অক্টোবরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনের পূর্বে সারাদেশে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন তথা তৃণমুল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার কাজ শুরু হয়েছে। তৃণমূল থেকে জেলা-উপজেলার সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে ঢেলে সাজিয়ে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
হানিফ আরো বলেন- এদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বার বারই আওয়ামী লীগের অবদানকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে একটি মহল। এবার আর সেই সুযোগ নেই। এবার আওয়ামী লীগকে অতিশক্তিশালী, অপ্রতিদ্বন্দ্বী করার কাজ শুরু করেছেন শেখ হাসিনা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা-মহানগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোর সভাপতি সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
Posted ১৪:২৪ | রবিবার, ০৫ মে ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain