| মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
২৮ জানুয়ারিঃ ১৯ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা কাজী জাফর আহমদ বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, সফল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষনজন্মা মহান নেতা ছিলেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই করেন নি, বরং স্বাধীনতা যুদ্ধ জেড ফোর্সের নেতৃত্বে তিনি যুদ্ধ করেছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জাতীয়তাবাদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হিসেবে আজীবন স্মরণ করবেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর মন্ত্রী সভায় সদস্য হিসেবে কাজ করার। যে কারনেই হউক আমি সেখান থেকে বের হয়ে এসেছিলাম। তবে এখন মনে হচ্ছে সে দিন আমি ভুল করেছিলাম। আমি বেঁচে থাকি বা মরে যাই, আমার কৃতকর্মের কথা ইতিহাস একদিন স্মরন করবে। তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সরকারের ২/১ জন মন্ত্রী নানা কথা বলছে।
তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচন এক নয়। এর আগে স্থানীয় সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে সারাদেশে আওয়ামীলীগের যেভাবে ভরাডুবি হয়েছে ঠিক সেইভাবে আগামী উপজেলা নির্বাচনে ভরাডুবির আশংকায় বিএনপি সহ ১৯দলীয় জোট যাতে অংশ গ্রহন না করে সেই কারনে হাবল তাবল বলছে। উপজেলা নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করলে আওয়ামী লীগের অনেক জায়গায় জামানতও থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি এক ভেল্কি বাঁজের সাথে ছিলাম। একেক সময় এক এক ভেল্কি দিয়ে শুধু জাতীয় পার্টিকে বিভক্ত করেনি, বরং এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার পিছনে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, এই সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার। যে কোন একদিন সকালে উঠে দেখবেন এই সরকারের পতন হয়ে গেছে। তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ গ্রহনের আহ্বান জানান।
নাগরিক আন্দোলন (সিটিজেন মুভমেন্ট)’ ঢাকার উদ্যোগে ২৮শে জানুয়ারি মঙ্গলবার, বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনের নিচতলায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে “শহীদ জিয়া- গণতন্ত্র ও আজকের প্রেক্ষাপট” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, নাগরিক আন্দোলন (সিটিজেন মুভমেন্ট) ঢাকার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল হোসেন।
জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসার উপস্থাপনায়, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হীরা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভানেত্রী শ্যামা ওবায়েদ ইসলাম, দেশরক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক এম সানোয়ার হোসেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকার আহ্বায়ক ইমরান নাহিদ, সাংবাদিক আব্দুল কাদের সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সভায় নাগরিক আন্দোলন CITIZEN MOVEMENT এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেরিত বক্তব্য সভায় উপস্থাপন ও প্রচার করা হয়। নিম্নে বক্তব্য সমূহ
নাগরিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ মালেক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী নাগরিকদের মানব অধিকার রক্ষার তাগিদে ও প্রতিবাদের জন্য একটি নতুন নাগরিক আন্দোলন CITIZEN MOVEMENT নামক সংগঠন খুলেন, যা ইতিমধ্যে টক ও EUROPE- এ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। যার নেতৃত্বে ব্রিটিশ এবং ইউরোপ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানুষের মানব অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে তুমুল ঝড় তুলিয়েছেন।
নাগরিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ মালেক বলেন, নাগরিক আন্দোলন জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। নাগরিকদের পক্ষের ও মানব অধিকার নিয়ে কথা বলার একটি সংগঠন । এই সংগঠনের মাধ্যমে থাকবেনা নাস্তিকতা, আবার থাকবেনা মৌলবাদীতা । জাতি , ধর্ম , বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আমরা সন্মান করি এবং সকলের মানব অধিকার নিয়ে লড়াই করি । আমাদের অনেকে আছে যারা আমাদের দেশে যে বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে সেগুলকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন, রাজনীতির রূপরেখা বানাতে চেষ্টা করেন আমরা বরাবর দেখেছি তারা বিফল হয়েছে। একটা দেশ ও জাতি রক্ষা করতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোপরি বাংলাদেশে নাগরিক আন্দোলনের যাত্রা শুভ হক। আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক মেজর জিয়াউর রহমানের আদর্শকে পছন্দ করি ও ভালোবাসি । তার ১৯-দফা বাস্তবায়নে বিশ্বাসী । বীর উত্তম বীর শহীদ নেতা জিয়াউর রহমানের ৭৮ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার পরিবারের সার্বিক শুভ কামনা করছি।
নাবিহা রহমান যুগ্ন আহবায়ক, C.M. Eurpoe নাগরিক আন্দোলন
দিওনা দিওনা দিওনাগো এই আঘাত,
ভালতোবাসিতে চাই কেন এই সংঘাত;
বলিব কি বলিব না করিব কি করিব না
বুঝিয়া নাহি পাই,
তবুও যে বলিব দেশ আমার
আমরা যে ভাই ভাই;
এগিয়ে চল এগিয়ে চল বাংলার জনগন
গর্ভে বলিবে দেখ… আমাদের নাগরিক আন্দোলন।
আমি নাবিহা রহমান( যুগ্ন আহবায়ক,C.M. Eurpoe) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, পর পর ২ বার বাকশালী আওয়ামী লীগের বিপরীতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা এবং যার নামে বাংলাদেশে একটি রাস্তাও আছে তার চেতনায় উজ্জীবিত মুক্তিযোদ্ধার চেতনা নিয়ে তরুণ প্রজন্ম, দেশ ও জাতির আশা আকাক্ষা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সঠিক ইতিহাস নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে রচিত করার প্রতিজ্ঞা করছি নাগরিক আন্দোলনের মাধ্যমে এবং নাগরিক আন্দোলন একটি নিরপেক্ষ সংগঠন। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, রাখাল রাজা, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান( বীর উত্তম)-এর ৭৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে তার মাগফেরাত কামনা করছি ।
রাকেশ রহমানঃ আমি রাকেশ রহমান (যুগ্ন আহবায়ক,C.M. Eurpoe) মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, আমি ও আমরা সারা বিশ্বের বাংলাদেশী নাগরিকদের মানব অধিকার রক্ষায় এক যোগে কাজ করে এবার মাতৃভূমিতে আমাদের যাত্রা শুরু করেছি,দেশ ও জাতির অংশগ্রহনই আমাদের একান্ত কাম্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান( বীর উত্তম)-এর ৭৮তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে তার মাগফেরাত কামনা করছি । আমার চিন্তা চেতনায় সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি প্রিয় নেতা শহীদ জিয়াউর রহমান একজন গ্রেট নেতা ছিলেন কিন্ত পলিটিসিয়ান নন । বাংলাদেশের উন্নয়নে ও মানব অধিকার রক্ষায় আমরা তার মতো একজন গ্রেট নেতা চাই, পলিটিসিয়ান আর চাই না।
Posted ১৫:০০ | মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin