বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জিয়াউর রহমানের তুলনা তিনি নিজে অন্য কেউ নন: গয়েশ্বর

  |   রবিবার, ২৯ মে ২০২২ | প্রিন্ট

জিয়াউর রহমানের তুলনা তিনি নিজে অন্য কেউ নন: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এক দলীয় বাকশাল থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তন করায় জিয়াউর রহমানকে সাধারণ মানুষ অনেক উপরে স্থান দিয়েছে। তাকে শ্রেষ্ঠ করতে কাউকে ছোট বড় করতে হয় না। তার তুলনা তিনি নিজে অন্য কেউ নন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ডের তুলনা তিনি নিজেই। আমরা যেন ভুল করে জিয়াউর রহমানের সাথে অন্য কারো তুলনা করতে না যাই। তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

 

রোববার  নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে খ্যাতনামা জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন।

 

গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমান সর্বকালের একজন সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ প্রেমিক। তিনি একজন দূরদর্শী সম্পন্ন রাজনীতিবিদ ছিলেন। জিয়াউর রহমান সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠক। একটি রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা দরকার। এটি অল্প সময়ের মধ্যে জিয়াউর রহমান করতে পেরেছিলেন। পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি মুক্তিযুদ্ধে সবাইকে মাঠে নামাতে পেরেছিলেন এবং সম্মুখ ভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তিনি ইচ্ছা করেই আসেন নাই। সিপাহী জনতা তাকে উদ্বুদ্ধ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনেছে। জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন তিনি জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন।

 

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশকে একত্রিত করতে জিয়াউর রহমান সার্ক তৈরি করেছিলেন। সার্কের কার্যকারিতা না থাকায় দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্বের বড় দেশগুলো যখন আমাদের নিয়ে খেলবে তখন আমরা বিপদে পড়ে যাবো। এসব থেকে মুক্তি পেতেই জিয়াউর রহমান সার্ক গঠন করেছিলেন। এটাই জিয়াউর রহমানে দূরদর্শীতা।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ ছোট দেশ। এর মধ্যে লাখ লাখ বেকার কাজে লাগাতে পারবেন না। তাই তিনি শ্রমিক রফতানির ব্যবস্থা করেছিলেন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে বিদেশে শ্রম বাজার দখল করেন। যার রেমিটেন্স এখন আমরা পাচ্ছি। বিদেশে শ্রমিক ও পোশাক শিল্পের রেমিটেন্স দিয়েই বাংলাদেশ টিকে আছে। এটাই হলো জিয়াউর রহমানে দূরদর্শীতা। রেমিটেন্স না আসলে বাংলাদেশ তলা বিহীন ঝুড়িতে পরিণত হতো।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমান খাল খনন কর্মসূচি পালন করে সারাদেশে কৃষিক্ষেত্রে অভুতপূর্ব সাফল্য এনেছিলেন। ছাত্রদের তিনি শুধু রাজনীতির মধ্য সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি তাদের দিয়ে উৎপাদনমুখী রাজনীতি করাতে চেয়েছেন। যুবকদের তিনি বসিয়ে রাখেননি। যুবকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাইসেন্স দিয়ে কাজে লাগিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের স্লোগান ছিলো বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে কোনো প্রভু নাই।

 

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানই প্রথম ব্যক্তি ৭টি দেশের সমার্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, কূটনৈতিক মিশন চালু করেন। জিয়াউর রহমানের কোনো স্বজনপ্রীতি ছিলো না।

 

এ সময়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:০০ | রবিবার, ২৯ মে ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com