| সোমবার, ৩০ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জালভোটের প্রতিবাদ করায় হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাসদের নারী মেয়রপ্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী।
সোমবার সকালে বরিশাল সিটিতে বিএম কলেজকেন্দ্রে বাসদের মেয়রপ্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী ভোট দিতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মনীষা চক্রবর্তী বলেন, সদর গার্লস স্কুল কেন্দ্রে এসে আমরা দেখলাম যে সমস্ত ব্যালটে মেয়রের সিল নৌকায় দেওয়া। আমরা যখন প্রিজাইডিং অফিসারকে জানালাম উনি কিছু করলেন না, উনি বসে থাকলেন। তারপরে যখন আমরা ব্যালট পেপারটা দেখতে গেলাম তখন আওয়ামী লীগের ব্যাজ পরা দুজন আমাকে ধাক্কা মেরে পেছন থেকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে এবং আমার হাত থেকে ব্যালট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। একজন লাল পাঞ্জাবি এবং আরেকজন নীল শার্ট পরা ছিল। আমার কাছে তাদের ছবিও আছে। আমার নখ পর্যন্ত ভেঙে গেছে। একজন মেয়র ক্যান্ডিডেটকে যদি তারা এভাবে আঘাত করে তাহলে তারা নিজেদের কোথায় চিন্তা করছে। তাহলে তো এই নির্বাচন করার আর কোনও অর্থ থাকে না।
তিনি আরো বলেন, আপনারা এখনও অফিসারের কাছে ছেঁড়া ব্যালট দেখতে পাবেন এবং দুইজন অফিসারই ইলেকশন কমিশনারের কাছে বলেছেন তাদের কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে সিল মেরে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই হচ্ছে অবস্থা। সারা বরিশালের প্রত্যেকটা কেন্দ্র থেকে খবর আসছে। প্রায় ১০০টা কেন্দ্র থেকে খবর এসেছে, প্রত্যেকটা জায়গায় একই কাজ করছে। সদরগঞ্জ স্কুল বরিশালের একটি প্রাণকেন্দ্র, এ কে স্কুল বরিশালের একটা সেন্টার। সেখানে বসে যদি সিল ঠেকানোর মতো কাজ করতে পারে তাহলে এই নির্বাচন কমিশন আসলে কী কাজ করছে সেটা জাতির কাছে একটা প্রশ্ন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ বিষয়ে এখনও খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং আমাদের এজেন্টদেরও বিভিন্ন জায়গা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ব্যালট, সিল দেওয়া ব্যালট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ৬৬ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রভাস কুমার মণ্ডল মনীষার দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, ‘১৫/২০ জন নারী পুরুষ নিয়ে এসে উনি পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এখানে অনিয়মের কিছুই হয়নি। তিনি একটি বুথে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে চলে গেছেন। আমরা তার আচরণে হতভম্ব।’
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১২৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। এর মধ্যে ৫৫টি ভোটকেন্দ্র অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সিটির ভোটের নিরাপত্তায় পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ৩০টি মোবাইল টিম ও ১০টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।
এছাড়া র্যাবের ৩০টি টিম ও ১৫ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর বাইরে ৪ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। পূর্ব-পশ্চিম
Posted ১৫:৫৫ | সোমবার, ৩০ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain