| মঙ্গলবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে আজ যারা শপথ নিতে যাচ্ছেন তাদের মন্ত্রণালয় এবং পদবী নিয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন আর টেকনোক্রেট কোটায় মোস্তফা জব্বারও পাচ্ছেন পূর্ণমন্ত্রীর পদ। আর প্রতিমন্ত্রীর পদ পাচ্ছেন কাজী কেরামত আলী ও এ কে এম শাহজাহান কামাল।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ পড়াবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বঙ্গভবনের দরবার হলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুপুর পর্যন্ত চারজনের শপথ আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের ওয়ার্কশপে তাদের জন্য গাড়িও প্রস্তুত করা হয়েছে।
যে চারজনকে ডাকা হয়েছে, তাদের নাম সোমবার থেকেই গণমাধ্যমে আসছে। তবে তারা কোন দায়িত্ব পাচ্ছেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি কেউ। তবে শপথ গ্রহণের দিন আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস-বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। গত ৬ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে মেলা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী তাকে আরও বড় কোনো দায়িত্ব দেয়ার কথা বলছিলেন।
বর্তমান সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিলেও এই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি কাউকে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের পর থেকে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হলেন জুনাইদ আহমেদ পলকই সামলাচ্ছেন দায়িত্ব।
আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, মোস্তাফা জব্বার এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন, সেটা নিশ্চিত।
আবার পূর্ণমন্ত্রী হতে যাওয়া নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মন্ত্রণালয় পাল্টানোর সম্ভাবনা কম বলেও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী ছায়েদুল হক গত ১৬ ডিসেম্বর মারা গেছেন। সেদিন থেকেই পদটি খালি রয়েছে।
অন্য যে দুই জনকে শপথ গ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছে তাদের মধ্যে লক্ষ্মীপুরের-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহাজাহান কামাল এবং রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।এদের একজন স্বরাষ্ট্র এবং একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন বলেও আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন।
শাহাজাহান কামাল আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা। তিনি ১৯৭৩ সালে লক্ষ্মীপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হন। অন্যদিকে কাজী কেরামত আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মোট চারবার।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদের (একাংশ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে এই মন্ত্রণালয়ে কোনো প্রতিমন্ত্রী নেই।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন বর্তমান মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিমন্ত্রীর পদ ফাঁকা রয়েছে।
টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ অথবা রদবদল হয়েছে চারবার। আজ সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণের পর সেই সংখ্যাটা দাঁড়াবে পাঁচে।
Posted ১০:৩১ | মঙ্গলবার, ০২ জানুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain