| বুধবার, ২২ মে ২০১৯ | প্রিন্ট
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সরকার জনগণ হতে আজ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তাদের ওপর আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই। জনগণের অধিকার যারা হরণ করে, তারা জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখবে কীভাবে?
গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক সরকার না থাকায় কৃষকসহ সবাইকে মূল্য দিতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা করেন।
ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার দাবিতে ‘কৃষক-জনতা এক হও, সরকার হটাও, দেশ বাঁচাও’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সায়ীদ। সূচনা বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া।
ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে গণফোরামের লিখিত বক্তব্যে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— অবিলম্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা।
শস্য বহুমুখীকরণ, আধুনিক বাজার ব্যবস্থা চালু করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সরকারি প্রণোদনা প্রদান, দেশে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতী তৈরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান এবং উন্নত যন্ত্রপাতি আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক মওকুফ করা।
শস্য বীমা চালু করা, সহজ শর্তে ও বিনা সুদে বা স্বল্প হারে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সুপারিশও করা হয় গণফোরামের পক্ষ থেকে।
‘আমার কৃষক চোর নই। গুদাম নেই তাতে কী? কৃষকের নিকট থেকে ধান কিনে তাদের গোলায় রেখ দাও’— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই নির্দেশ স্মরণ করিয়ে দিয়ে গণফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘খাদ্য গুদাম না থাকার যে অজুহাত দেওয়া হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু যে ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিলেন, সে কথা স্মরণ রাখতে চাই। জাতির পিতার আস্থা ছিল জনগণের ওপর, বিশ্বাস ছিল দুঃখী মানুষের ওপর। সেই আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতেই এ কথা বলেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজবাহ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মহসীন হোসেনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
Posted ১৫:০৬ | বুধবার, ২২ মে ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain