শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

জন্মের পরই ইউআইডি নম্বর পাবে শিশু

  |   সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট

জন্মের পরই ইউআইডি নম্বর পাবে শিশু

দেশে জন্মের পর প্রতিটি শিশু ১০ ডিজিটের পরিচিতি নম্বর পেতে চলেছে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে এই কাজ শুরু হবে। এই পরিচিতি নম্বরকে বলা হচ্ছে ইউনিক আইডি বা ইউআইডি। এটি হবে একই সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় বা এনআইডি, পাসপোর্ট, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ আরো অনেক কিছুর নম্বর। জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ওই একটি নম্বরে চিহ্নিত হবেন দেশের একজন নাগরিক। তাকে আর একাধিক নম্বর মনে রাখতে হবে না।

ওই ইউনিক আইডি নম্বর বহাল রেখেই একটি শিশুর বয়স ১০ বছর পূর্ণ হলেই তাকে এনআইডি কার্ড দেওয়া হবে। ১০ বছর পূর্ণ না হলে একটি শিশুর আঙুলের ছাপসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পূর্ণতা পায় না বলেই এনআইডি কার্ড পেতে তাকে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে ইউনিক আইডি নম্বরের মাধ্যমে ১০ বছরের নিচের শিশুরা এনআইডির সুবিধা ভোগ করতে পারবে।,

রবিবার নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি উইং) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছর ধরে এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। আমরা এখন প্রস্তুত। আশা করছি, নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই ইউনিক আইডির কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

এনআইডি উইংয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, গত ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এনআইডি উইংয়ের চুক্তি হয়েছে। ইউআইডির জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সিস্টেম ও জন্ম নিবন্ধন সিস্টেম দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ইউআইডি সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।,

এরই মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে অর্থাৎ যারা নিবন্ধিত হয়েছেন, তাদের ইউআইডি নম্বর তৈরি হয়ে গেছে। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং যারা এখনো ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়নি তাদের নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইউআইডি দেওয়া হবে।,

ওই কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যবস্থার ফলে জন্মের পর থেকে ১৮ বছর বয়সী একটি জনগোষ্ঠীকে একটি ডাটাবেইসের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এর ফলে কিশোর অপরাধ কমানোও সম্ভব হবে।

জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতেও শিশুদের জন্য প্রায় একই ধরনের একটি ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। ভারত পাঁচ বছরের কম বয়সীদের জন্য চালু করতে যাচ্ছে ‘বাল আধার’। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) পক্ষ থেকে সম্প্রতি এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই আধার কার্ডের রঙ বড়দের কার্ডের রঙ থেকে আলাদা হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই শিশুদের ক্ষেত্রেও নিকটস্থ আধার নথিভুক্তিকরণ কেন্দ্রে গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।

এর পরেই দেওয়া হবে আধার কার্ড। তবে আধার নথিভুক্তিকরণ কেন্দ্রে  প্রাপ্তবয়স্কদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে সেটা করা হবে না। আধার নথিভুক্তিকরণ কেন্দ্রে গিয়ে যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার পর ৬০ দিনের মধ্যে ‘বাল আধার’ পাওয়া যাবে। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এই শিশুটির এই আধার কার্ড বৈধ থাকবে।,

ভারতের এই উদ্যোগ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো দেশের পদ্ধতি অনুসরণ করছি না। নিজেদের পরিকল্পনা অনুসারেই নিজস্ব পদ্ধতি গড়ে তুলছি।’  সূত্র : কালের কণ্ঠ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:৫৮ | সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com