নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় জঙ্গি ছিনতাই নাটক কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘জঙ্গি ধরার নাম করে ১০ ডিসেম্বরের আগে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে চিরুনি অভিযান হবে কি না, নিপীড়ন নির্যাতনের দিকে নেবে কি না, সেসব আলামত এ সমস্ত ঘটনাগুলোর মধ্যে দিয়ে ফুটে উঠেছে।’
সোমবার (২১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বার বার বলছেন, খেলা হবে। এটা কোনো রাজনীতির ভাষা হতে পারে না। জাতীয় পর্যায়ের কোনো নেতার কথাও হতে পারে না। এটা পাড়ার গুণ্ডা-পাণ্ডার কথা। একটা দলের সাধারণ সম্পাদক তার জায়গা থেকে এ কথা কী করে বলেন? তার এই কথার আলামত নানাদিক থেকে নানাভাবে ফুটে উঠছে। এ খেলা মরণখেলা, এ খেলা ভয়ঙ্কর চক্রান্তের খেলা, যেই খেলার কথা ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল রোববার আদালত পাড়ার ঘটনা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। একজন জঙ্গি, যার হাতে কড়া, পায়ে বেড়ি পরা অবস্থায় পুলিশি বেস্টনির মধ্যে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে গেলেন। এটাকে মানুষ ভিন্নভাবে দেখছে, নাটক মনে করছে। এটা ওবায়দুল কাদেরদের খেলার অংশ কি না?’
‘এসব নাটক বা তামাশা কি না, সরকারের ঘনিষ্ঠদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রমাণও পাচ্ছি। সম্প্রতি, পুলিশের সাবেক আইজি শহীদুল ইসলাম তার পেশাসহ জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। সেখানে এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, শ্যামলীতে আমাদের সাথে জঙ্গিদের যুদ্ধ হলো। জঙ্গি দমন করার পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন, এত তাড়াতাড়ি নাটক শেষ করার কী দরকার ছিল।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল রোববার ঢাকা জেলা আদালত এলাকায় যে ঘটনা ঘটেছে, সরকারের লোকজনই তো বলছে, এটা তামাশা। এটা ওবায়দুল কাদেরের খেলার অংশ। এই খেলা যে কত বিপজ্জনক, কত ভয়ঙ্কর ও কত নিষ্ঠুরতার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এমন—একটা লাশ দাফন করতে না করতেই আরেকট লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। এরকম দুঃসময়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের জন্মদিন। এই দিনটি আড়ম্বরপূর্ণ, জাকজমকপূর্ণ করা যাবে না, কেক কাটা যাবে না, এই নির্দেশনা তিনি আমাদের সবাইকে দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, এই ভয়াল সময়ের মধ্যে আনন্দ প্রকাশ করা যায় না। তার মা গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি। ভালো ও জনপ্রিয় মানুষগুলো নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দেশের জনপ্রিয় ও ভালো মানুষগুলো কারাগারে, আর গুণ্ডা-পাণ্ডা, চোর-ডাকাত বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থীকে হত্যা করে বাইরে দাপট খাটাচ্ছে। গোটা সমাজ ও রাষ্ট্র শঙ্কার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকায় গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না
Posted ১৫:৫৫ | সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain