| রবিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখে এর আগে ৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে নির্বাচন। সেই হিসেবে অক্টোবরের শেষ দিকে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে হতে হবে ভোট। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন
বর্তমান মন্ত্রী পরিষদে বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদসহ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ৭ জন, মন্ত্রী ৩৩, প্রতিমন্ত্রী ১৭ এবং উপমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন ২ জন। কোনো রকম বাধ্য-বাধকতা না থাকলেও একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আকার ছোট করে নির্বাচনকালীন রূপ নেবে বর্তমান সরকার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাষ্ট্রের বা জনগণের অর্থ যাতে বিনা কারণে অপচয় না হয়; সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করতে চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ২০১৩ সালে তিনি সেটা করেছিলেন, এবারও তিনি সেই চিন্তা ধারাতেই এগিয়ে যেতে চান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর, সর্বপ্রথম নিবার্চনকালীন সরকার গঠন হয় দশম নির্বাচনের আগে। সেবার তফসিল ঘোষণার ১৪ দিন আগে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর, মন্ত্রিসভার বৈঠকেই একযোগে পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা। ১৮ নভেম্বর নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথের মধ্যদিয়ে মন্ত্রিসভার আকার ছোট করে আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার একদিন পর টানা হয় সংদস বহাল রেখে নবম সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপন।
২৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও ১১ উপদেষ্টা জায়গা পান নির্বাচনী মন্ত্রিসভায়। বাদ পড়েন ৩০ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা দেয় ইসি।
সরকারের বেশ কয়েকটি নীতিনির্ধারক জানাচ্ছেন, এবার ২৫ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন হতে পারে ভোট। এর দিনক্ষণ হিসেব করে তফসিল ঘোষণা ও ভোট নেওয়ার মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ দিন ব্যবধান রাখার বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে নভেম্বরের মাঝামাঝি আসতে পারে এবারের ভোটের তফসিল। আর ঐ মাসের প্রথম দিকেই দায়িত্ব নিতে পারে নির্বাচনকালীন সরকার।
Posted ২২:৩১ | রবিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain