| মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
মুজিবুর রহমান,ছাতক প্রতিনিধি:ছাতক উপজেলাধীন কালারুকা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নূরুল্লাহপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে|এছাড়াও নদী তীরবর্তী উদয়পুর,উজিরপুর গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম অত্যন্ত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে সর্বমহলে নন্দিত । কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল এই যে, উক্ত এলাকা দীর্ঘদীন ধরে নদী ভাঙ্গন সমস্যার মত মারাত্মক সমস্যায় হুমকির সম্মুখীন ।
অথচ, এখানে শত শত ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন- স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং শত বছর পুরনো বাজারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহ রয়েছে । বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরও এগুলো রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেনা। উল্লেখযোগ্য এলাকা নদী ভাঙ্গনের ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে প্রতিনিয়ত ।
দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও সাধারণ-গরীব মানুষের জনজীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ । এরকম অনেকেই আছেন যাদের সবকিছু নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ায় আজ তারা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। এছাড়াও, এখানকার শত শত একর জমি ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অনায়াসেই। যা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতাকে বিনষ্ট করে ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে । নদী ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান আজ এ এলাকার জনমানুষের প্রাণের দাবি।
নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অভিভাবক সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনের সংসদ সদস্য জনাব মুহিবুর রহমান মানিক, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির ওপর সুনজর প্রদানের মাধ্যমে প্রাচীন বিদ্যাপীঠ নুরুল্লাহপুর দাখিল মাদ্রাসা সহ এলাকার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোকে নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষাকল্পে করনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে সুরমা নদীর পাড়ের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে এলাকাবাসী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
Posted ১০:০৭ | মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin