শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চবিতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, ট্রেন চলাচল বন্ধ

  |   রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট

চবিতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, ট্রেন চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ডাকা ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচি চলাকালে রোববার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ক্যাম্পাস। ছাত্রলীগ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধের কারণে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সকালে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় এবং শাটল ট্রেনের লোকোমাস্টারকে তুলে নিয়ে যায়।

ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা প্রত্যাহার, প্রক্টরের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল।

অবরোধের কারণে সকাল থেকে কোনো শাটল ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। ফলে দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, ষোলশহরে স্টেশন থেকে অবরোধকারীরা শাটল ট্রেনের লোকোমাস্টারকে অপহরণ করার পর ছেড়ে দেয়। এর আগে তারা ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয়।

শাটল ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয় অবরোধকারীরা।শাটল ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো তাদের সঙ্গে মারামারি করতে পারি না। তারা আন্দোলন করলে আমাদের কিছু করার নেই।

হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বারবার সংঘর্ষের কারণে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ঘটনায় তারা অবরোধের ডাক দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। এরপরও তারা অবরোধ করেছে। আমরা তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।

ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন বলেন, এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

দুপুর ১২টার আগে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। কর্তৃপক্ষের এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে তাদের উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে অবরোধকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মূল ফটক থেকে সরে ছাত্রলীগ কর্মীরা শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান করছে। সেখান থেকেই তারা পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল ছুড়ছে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শাটল ট্রেনের চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়।পরে তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেওয়া হয়। অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, ২০১৫ সাল থেকে সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাংগীরের প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয় বগি ভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, চার দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় রুটে ট্রেন ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

পিবিডি

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:১৪ | রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com