| শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
আসাদুজ্জামান আজম, ঢাকা, ২৫ এপ্রিল : প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অনেক ক্ষেত্রে ভোগান্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি মানুষের আরো দ্রুত দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে থ্রিজি সেবা চালু করা হয়েছে। কিন্তু থ্রিজি সেবা ব্যবহারে প্রতিনিয়তই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। বিশেষ করে শীর্ষ মোবাইল অপারেটর কোম্পানী গ্রামীণ ফোনের ক্ষেত্রে এ অভিযোগ উঠেছে। ‘গ্রামীণ ফোন থ্রিজি, ইচ্ছা হলেই চলো বহুদূর!’ এমন চটকদার বিজ্ঞাপনে গ্রাহক টানতে সক্ষম হলেও টেকনিক্যাল প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কোম্পানীটির সেবা।
গ্রাহকদের অগোচরেই কেটে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। প্রতিকার চেয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না ভূক্তভোগীরা। জাস্ট নিউজ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এমনই ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সঙ্গে।
গ্রামীণ ফোনের এক ইন্টারনেট গ্রাহক অভিযোগ করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ ফোনের ২জিবি প্যাকেজ ব্যবহার করছেন। কিন্তু প্রায় সময়ই মেয়াদ শেষে নানা ধরণের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সর্বশেষ গত ২৪ এপ্রিল রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আমার ফোনে মেসেজ আসে এই মাত্র ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর পরপরই আমি টাকা রিচার্জ করেই দেখি লঙ্কাকান্ড, আমার এ্যাকাউন্টের ১২৫ টাকা উধাও।
ভুক্তভোগী এ স্টার গ্রাহক আরো বলেন, পরবর্তীতে কাস্টমার কেয়ারে অভিযোগ করলে ঐ কর্মকর্তা বলেন, আপনি ২৪ ঘন্টায় ১২৫ টাকা ব্যবহার করেছেন, তাই কেটে রাখা হয়েছে। এইমাত্র মেয়াদ শেষের মেসেজে আসলো ২৪ ঘন্টা পেলেন কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এটা টেকনিক্যাল ক্রুটির ব্যাপার বলে ফোন কেটে দেন।
প্রশ্ন উঠেছে গ্রামীণ ফোনের থ্রিজি সেবার নেটওয়ার্কের গতি নিয়েও। খোদ রাজধানীতেও ঠিক মতো সেবা নিতে পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় এ সেবার আওতামুক্ত হলেও প্রায় সময়ই গতি মন্থর হয়ে পড়ে। এছাড়া খিলগাঁও, রমনা এলাকায়ও এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও নানা ধরনের প্রতারণা শিকার হচ্ছেন গ্রামীণ ফোনের গ্রাহকরা। প্রায়ই হয়রানির শিকার গ্রাহকদের অভিযোগ জমা পড়ে কোম্পানীটির কাছে। কিন্তু এ থেকে বের হয়ে আসতে শুধু সর্তকতা করা ছাড়া আর কোনই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
একজন ভুক্তভোগী জানান, গ্রামীণ ফোন বেশি লাভের সন্ধান করতে গিয়ে গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতারণা রোধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অতিরিক্তি টাকা কেটে নেয়ার কথা অস্বীকার করে গ্রামীণফোনের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন তাহমিদ আজিজুল হক জাস্ট নিউজকে বলেন, এমনটা হবার কথা নয়। গ্রামীণ ফোন গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে, ভোগান্তি বাড়াতে নয়।
বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, প্রায়ই থ্রিজি সেবা নিয়ে অভিযোগ উঠছে। থ্রিজি সেবার মান এবং দাম নিয়ে গ্রাহকরা যেন প্রতারিত না হয় সেজন্য থ্রিজি সেবাকে নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন ৫১২ কেপিবিএস এবং এক এমপিবিএস গতির থ্রিজি সেবা দিচ্ছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস সাংবাদিকদের বলেন, থ্রিজি সেবার মান নিশ্চিত ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসি কাজ শুরু করেছে।
Posted ১১:১৮ | শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin