শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়েন্দা তথ্য ও নিয়ম মেনেই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট

গোয়েন্দা তথ্য ও নিয়ম মেনেই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান: র‍্যাব

র‍্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিয়ম মেনে পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

 

তিনি বলেছেন, এতদিন পর সংক্ষুব্ধ হয়ে কেউ নিজেদের নির্দোষ দাবি করতেই পারেন। তবে বেশকিছু মামলা তদন্তাধীন এবং আদালতে বিচারাধীন আছে। আদালতই বলবেন কারা দোষী, কারা নির্দোষ।

২০১৯ সালে র‍্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ দাবি করে গত রোববার (২৮ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক দুই কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও তারেকুজ্জামান রাজীব সংবাদ সম্মেলন করেন। এ নিয়েই বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন র‍্যাব মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন।

সাবেক দুই কাউন্সিলরের সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে র‍্যাবের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, সাবেক দুই কাউন্সিলের যে অভিযোগ তা সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কেউ করতে পারেন। তবে আমাদের যে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান তা দেশবাসী দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সেখানে একটি শ্রেণি দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই আমাদের অভিযান (ক্যাসিনোবিরোধী) ছিল। শুধু উনাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযান নয়, আমরা তখন আরও অভিযান করেছি, কিন্তু কোনো প্রশ্ন ওঠেনি।

 

দুই কাউন্সিলরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালে আমরা অভিযান চালিয়েছি। তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে এতদিন র‍্যাব সদরদপ্তর, বিজ্ঞ আদালত বা পুলিশ সদরদপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারতেন। কিন্তু এতদিন পর তারা নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করছেন! এটা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি হিসেবে করতে পারেন।

 

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন। আদালত বলতে পারবেন, কারা দোষী আর কারা নির্দোষ ছিলেন। অভিযানগুলো আমরা পরিচালনা করেছি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং নিয়ম মেনে।

 

গত রোববারের সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুর রহমান মিজান দাবি করেন, ২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় তাকে আটক করা হয়। যদিও এর আগে তার নামে থানায় কোনো মামলা ছিল না। ওই সময় তার বিরুদ্ধে সাজানো সব অভিযোগ আনা হয়। সরকারের ওই অভিযান ছিল ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। অথচ এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে তিনি সম্পৃক্ত না থাকলেও সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

তিনি বলেন, একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সরাসরি ইন্ধন ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ-হারিস- আনিসের মদতে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। আমার তো অত্যাধুনিক লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এরপরও আমার কেন ভাঙাচোরা অস্ত্র লাগবে?

 

সংবাদ সম্মেলনে তারেকুজ্জামান রাজীব দাবি করেন, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর প্রভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের (জোসেফ-হারিস-আনিস) উদ্দেশ্য ছিল ভাতিজাকে কাউন্সিলর বানাবে; আর সেটা করেছেনও।   সূএ :জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১০:২৫ | বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com