শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে ৪ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আজাদ আটক

  |   রবিবার, ১৮ মে ২০১৪ | প্রিন্ট

golafponj

১৮ মে:  গোপালগঞ্জের ডুমদিয়া গ্রামে আগুন দিয়ে নারী ও শিশুসহ ৪ জনকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আজাদ মোল্যাকে আটক করেছে পুলিশ।নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার পুটিমারী গ্রাম থেকে রবিবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। পুলিশের কাছে সে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।

নিজ স্ত্রীর উপর রাগ করে শনিবার রাতে সে তার শ্বশুর বাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার শাশুড়ি ও স্ত্রীর বোনদের তিন ছেলে-মেয়ে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা যায়। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্যা তাকে আটক ও প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার গাজীর স্ত্রী হুরিয়া বেগম (৬৫), তার নাতি দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র তামিম ফকির (৮), স্থানীয় ডুমদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র আমিনুর সরদার (১৪) ও নাতনি তানিমা (৬)।

ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তানিমার যমজ ভাই তানভীর (৬) ও মা রনি বেগম। তামিম ও তানিমা আপন ভাই-বোন এবং আমিনুর তাদের খালাতো ভাই। তারা সবাই নানি বাড়িতে থাকতো। অগ্নিকান্ডের সময় নিহতরা সবাই ঘুমিয়ে ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত হুরিয়া বেগমের বড় মেয়ে শরিফা বেগমের সঙ্গে তার স্বামী সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের আজাদ মোল্যার সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে। স্ত্রীকে তিনি দেখে নেবেন বলে মোবাইলে একাধিকবার হুমকিও দেন।

এলাকাবাসীর ধারণা, আজাদ মোল্যাই ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। এ সময় অভিযুক্ত আজাদের স্ত্রী শরিফাও ঘরে ছিলেন। স্থানীয়রা তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। তিন দিন আগে দুই সন্তানকে আজাদ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে যাওয়া তিনজনের কঙ্কাল সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত আজাদ মোল্যার স্ত্রী শরীফা বেগম বলেন, আমার স্বামীই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে আগে ঢাকায় থাকার সময় শিশু অপহরণ, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। এসব বিষয় নিয়ে সে প্রায়ই আমাকে মারধর করতো। গত দেড় মাস আগে আমার সন্তানদের সামনে মারপিট করায় আমি বাবার বাড়ি চলে আসি। গত তিন দিন আগে এসে আমাকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যেতে চায়। আমি যেতে না চাইলে ঘরে আগুন দিয়ে সবাইকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। আমার দুই সন্তান সাব্বির (১১) ও বাপ্পিকে (৯) জোর করে নিয়ে যায় সে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:০২ | রবিবার, ১৮ মে ২০১৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com