| মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
গুলিস্তান ও আশপাশ এলাকার ফুটপাতে তৃতীয় দিনের মতো হকারদের বসতে দেয়নি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার সকালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু হকার ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসতে থাকেন। দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নাজমুস শোয়েব। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার, ডিএসসিসির কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নাজমুস শোয়েব রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হকার উচ্ছেদের আজ তৃতীয় দিন। নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব হকার গুলিস্তান ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ফুটপাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই দোকান নিয়ে বসেছিলেন, তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হকাররা কৌশল অবলম্বন করেছেন। তারা টুকরিতে মালামাল নিয়ে বসছেন। অভিযানের খবর পেলেই তারা সটকে পড়েন। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। দিনের বেলায় জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত হকারমুক্ত রাখা হবে।
গুলিস্তান ঘুরে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকালে হকাররা ফুটপাতে টুকরি এমনকি চৌকিতেও দোকান নিয়ে বসেন। ডিএসসিসির পক্ষ থেকে তাদের ফুটপাতে থাকা জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে বলা হলেও নির্দেশ উপেক্ষা করে অনেক হকার দোকান খুলে রাখেন। দুপুর ১২টার দিকে ডিসিসি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় হকাররা দোকানের মালামাল নিয়ে সরে গেলে তাদের রেখে যাওয়া চৌকি, বাক্স, টিনের ছাউনি ইত্যাদি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী শিপন রায় বলেন, ২০ বছর ধরে আমরা এ জায়গায় ফুটপাতে ব্যবসা করছি। বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন কী করে খাব?
হকারদের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি নগর ভবনের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৫ জানুয়ারি থেকে কর্মদিবসে গুলিস্তান, মতিঝিল ও এর আশপাশ এলাকার ফুটপাতে দিনের বেলা কোনো হকার বসতে পারবে না। তবে অফিস সময়ের পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে তারা গুলিস্তান-মতিঝিল এলাকায় বসতে পারবেন।
Posted ১০:৩৭ | মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain