| সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
জাতীয় সংসদে ‘২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পাস হওয়ায় চলতি বছর থেকেই দিবসটি পালন করা হবে। এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে সারাদেশের জেলা, উপজেলা, পৌর আওয়ামী লীগের নেতাদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠি সারাদেশের সব ইউনিটকে পাঠানো হয়েছে।
দলটির উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ২৫ মার্চের মর্যাদা উপযোগী কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে।
এ দিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের এক সভায় ‘২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস’ পালন করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জোটনেতা শেখ শহীদুল ইসলাম, অসীত বরণ রায়, শাহাদৎ হোসেন ও শিরিন আখতার গণহত্যা দিবস নিয়ে আলোচনা করেন। সারা দেশব্যাপী গণহত্যা দিবস পালনের বিষয়ে আলোচনা করেন নেতারা।
জোটের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি স্বীকৃতি যেন পায় সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের যা করণীয় সরকার সে কাজ করবে। পাশাপাশি দিবসটিকে সারাদেশের পালনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে জোট। বৈঠকে রায়ের বাজার বধ্যভূমি, খুলনার চুকনগর থেকে শুরু করে সারা দেশের বধ্যভূমিগুলোকে কেন্দ্র করে ২৫ মার্চের কর্মসূচি প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা গণহত্যা দিবস নিয়ে খুব শিগগির কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ স্মরণে দিনটিকে ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে শনিবার রাতে।
২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।
প্রস্তাবে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা স্মরণ করে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হোক।
Posted ০৭:১৬ | সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain