শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণমানুষের সমর্থনের প্রতি বিশ্বাসই প্রধানমন্ত্রীর চালিকাশক্তি: স্পিকার

  |   রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট

গণমানুষের সমর্থনের প্রতি বিশ্বাসই প্রধানমন্ত্রীর চালিকাশক্তি: স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণমানুষের সমর্থনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। তার গণতান্ত্রিক দুর্গম সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের’ উদ্যোগে রাজধানীর বনানীতে ‘বাংলাদেশ: উন্নয়নের এক যুগ’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।

 

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

 

এ সময় কেক কাটার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের যাত্রাপথ, তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, শিক্ষা, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে তার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, বিচক্ষণ কূটনীতি নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন স্পিকার।

 

১৯৮৪ সালে জাতীয় সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এই সংসদ জনতার সংসদ’ উল্লেখ করে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ছেলেবেলায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম থেকে শুরু করে তার শিক্ষাজীবন, বৈবাহিক জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনীতিতে আসা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন, অনেক গবেষণালব্ধ বিষয় প্রদর্শনীটিতে ফুটে উঠেছে, যা প্রশংসনীয়।

 

স্পিকার বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭মে স্বজনহারানোর বেদনা বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেশে আসা বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন বাঁক। বাংলার মানুষ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, যা থেকে তার পথচলা। সেখান থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসনের অবসানের সংগ্রাম, সংবিধান অনুযায়ী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সত্যি বিস্ময়কর।

 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে আত্মশক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছিলাম, তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে গেছেন স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। তিনি তার পিতার মতো এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে অপূর্ণ স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুদক্ষ নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তার অবদান ও অর্জন নিয়ে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর প্রশংসা করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন বাঙালি জাতির জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন। এটি একটি ঐতিহাসিক বিশেষ মুহূর্ত বিশেষ মাহেন্দ্রক্ষণ। এটি আমাদের অত্যন্ত আনন্দের এবং আবেগের।

 

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং বিশ্ব রাজনীতির লায়ন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু। আর এই লায়ন কিং এর বাস্তব রূপ হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি যদি লড়াই না করতেন, ফিরে যদি না আসতেন, আমরা আজকে এই বাংলাদেশ দেখতাম না।

 

তিনি বলেন, ‘আমার আরেকটি জিনিস মনে হয়, আমরা কেন জানি এই প্রজন্ম এখনও বুঝে উঠতে পারিনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য কতটুকু বড় গিফট। আমার কেন জানি মনে হয়, তিনি তো আছেনই আমরা তাকে দেখি। কিন্তু আজ থেকে ১০০ বছর পরে যে প্রজন্ম আসবেন, তারা যখন পেছনে তাকাবে, তখন আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে তারা মূল্যায়ন করতে পারবেন।

 

আরাফাত বলেন, ‘আমি যখন ওয়াশিংটন ডিসিতে যাই, যখন আমি বিশাল স্টাচুর সামনে দাঁড়াই, আমার কেন জানি মনে হয়— জজ ওয়াশিংটন আমেরিকাকে স্বাধীন করেছেন, কিন্তু ১৬তম প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন আমেরিকা যখন বিভক্ত হয়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল, তখন আটকে রেখে, ধরে রেখে, আমেরিকার ভবিষ্যৎ রচনা করেছেন। সেরকম আব্রাহাম লিংকন দরকার ছিল বাংলার রাজনীতিতে। আমিও মনে করি, শেখ হাসিনা সেই আব্রাহাম লিংকন। আর শেখ হাসিনার জন্য আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনেক দোয়া থাকবে।

 

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন বলেন, ‘কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। বাংলাদেশের অনেকে কানাডায় বসবাস করেন এবং অনেক কানাডিয়ান বাংলাদেশিদের সম্পর্কে জানতে খুবই উদ্রেক যে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে।

 

‘বাংলাদেশকে কানাডা সবসময় বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে মনে করে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে এতকিছু জানতাম না, কিন্তু এই দেশ এবং প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে, শেখ হাসিনার পরিবার সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আমি আশা করি, আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে আরও এগিয়ে যাবো।’

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:২০ | রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com