| বুধবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। দুর্নীতি ফাঁস করার জন্য দুর্নীতি করার চেয়ে এ আইনে বেশি শাস্তি পেতে হবে। তিনি অবিলম্বে ৫৭ ধারার তিন কারাবন্দী শহীদুল-মাইদুল-মারুফের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ৫৭ ধারা যে গণবিরোধী তা স্বীকার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আড়ালে সরকার প্রকারন্তরে আরও ভয়াবহ আইন প্রণয়ন করেছে। গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব কোন দুর্নীতি, অনিয়ম ও গণবিরোধী কিছু ঘটলে জনগণের সামনে তা উন্মোচন করা। আমরা দেখতে পাচ্ছি একদিকে, সরকার আইন করছে ফৌজদারি মামলাতেও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না, অন্যদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তল্লাশির পরওয়ানা ছাড়াই যে কাউকে গ্রেফতার ও তল্লাশী করার অধিকার পুলিশের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
যে অফিসিয়াল সিক্রেসী অ্যাকটে মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে কারাদ- দেয়া হয়েছে, সেই আইন আরও ভয়াবহ পরিমাণে বেশি শাস্তির বিধানসহ চালু করা হচ্ছে বাংলাদেশে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫৭ ধারায় এখনো গ্রেফতার আছেন শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম, ৫৭ দিন ধরে আটক আছেন ছাত্র ফেডারেশন নেতা মারুফ হোসেন। ৫৭ ধারাকেই কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আরও বেশি শাস্তির বন্দোবস্তসহ এই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং ৫৭ ধারাতে করা সকল মামলা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান।
গণমাধ্যম ও নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা হরণকারী ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন কার্যকর করার উদ্যোগ বাতিল এবং কুখ্যাত ৫৭ ধারায় গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় নেতা জুলহাসনাইন বাবুর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন-ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া।
Posted ২০:৩৯ | বুধবার, ০৩ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain