| শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া গণফোরামের মোকাব্বির খান আজ শুক্রবার দলের কাউন্সিলে অংশ নিয়েছেন। সকালে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত দলটির কাউন্সিলে তিনি অংশ নেন। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান গত ২ এপ্রিল সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্যে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আটটি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দুটি আসন পায়। গণফোরামের আরেক সদস্য সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ে নির্বাচিত হন। গত ৭ মার্চ তিনি শপথ নেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেওয়ায় তাঁকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়। ৭ মার্চ মোকাব্বির খানেরও শপথ নেওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন তিনি সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে মাসখানেক যেতে না যেতেই তিনি গণফোরামের প্যাডে শপথ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি পাঠান। তিনি এটাকে দলীয় সিদ্ধান্ত বলে দাবি করলেও গণফোরাম জানায় ভিন্ন কথা।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ওই সময় অভিযোগ করেন, মোকাব্বির খান গণফোরামের প্যাড ‘চুরি’ করে সেই কাগজে স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে শপথ না নেওয়ার। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেই তিনি শপথ নিচ্ছেন।
পরে মোক্বাব্বির খানকে গণফোরাম কারণ দর্শানোর নোটিশও পাঠায়।
শপথ নেওয়ার দুদিন পর ৪ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে মোকাব্বির খান দেখা করতে গেলে তিনি তাঁকে বের করে দেন বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষায়, মোকাব্বির খান ড. কামাল হোসেনের চেম্বারের দরজা খুলে সালাম দিলে ড. কামাল হোসেন রেগে গিয়ে বলেন, ‘আপনি কার অনুমতি নিয়ে পত্রিকায় স্টেটমেন্ট দিয়েছেন যে গণফোরাম থেকে আপনাকে শপথ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে? গণফোরাম সভাপতি আপনাকে অনুমতি দিয়েছে? আমি দ্বিতীয়বার আপনার চেহারা দেখতে চাই না। আই সে, গেট আউট। আপনার জন্য আমার দরজা চিরতরে বন্ধ। আমার বাসা চেম্বার কোথাও আসবেন না।’
তবে এমন ঘটনার কথা অস্বীকার করেন মোকাব্বির খান।
Posted ১২:২৮ | শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain