| বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ | প্রিন্ট
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই আজকে বিএনপির সমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলের কোনো কর্মসূচি তারা সহ্য করতে পারে না। এ কারণে তারা বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।.
এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে সবার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। বিএনপি মহাসচিব দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, বন্ধুরা আপনারা অনেক বক্তৃতা দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ থাকার। বছরের আর দু একদিন আছে। সামনের বছরে আমাদের সংকল্প হচ্ছে শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠিত করব।.
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে উল্লেখ করে ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে এ সমাবেশ করা হচ্ছে বলে জানান ফখরুল।.
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে প্রহসনের নির্বাচন করেছে। একদলীয় সরকার কায়েম হয়েছে। দেশে লুটপাটের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ব্যাংক লুট করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে আমরা এ থেকে মুক্তি চাই। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মুখে বলে কাজ করে উল্টো, তারা স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি চায়। আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্য। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। এজন্য সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করিয়ে জনগণের সরকারকে নিয়ে আসব ।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের বাধ্য করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইভিএম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, ইভিএমে এক জায়গায় ভোট দিলে আরেক জায়গায় পড়ে। ধানের শীষে ভোট দিলে নৌকায় পড়ে। খালেদা জিয়া তারেক রহমানসহ সারাদেশে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এ থেকে মুক্ত হতে হলে এই অবৈধ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন সমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১৩:৩২ | বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain