বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খুন করতে এমপি লিটনকে দীর্ঘদিন নজরদারিতে রেখেছিল চন্দন: র‌্যাব

  |   সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

খুন করতে এমপি লিটনকে দীর্ঘদিন নজরদারিতে রেখেছিল চন্দন: র‌্যাব

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চন্দন কুমার রায় ও সুবল রায় নজরদারিতে রেখেছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

 

চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলায় গ্রেফতার চন্দনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

 

আজ (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মঈন বলেন, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়িতে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ঘটনায় তার বোনের করা মামলা তদন্ত করে আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিচারকাজ চলাকালীন আসামি সুবল রায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বরে লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কাদেরসহ অভিযুক্ত আটজনের সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সাতজনের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হন, তবে চন্দন পলাতক ছিলেন।

 

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ‘চন্দন রায় দেশত্যাগ করে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছিল চন্দনকে। অবশেষে তাকে সাতক্ষীরা বর্ডার থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গতকাল (রোববার) সাতক্ষীরা ভোমরা এলাকা থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

 

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাসভবনে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন।

 

এরপর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তিন বছর পর ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর মামলাটিতে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাত আসামির সবার ফাঁসির রায় দেয় আদালত।

 

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রধান আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লিটনের আগে সংসদ সদস্য ছিলেন। অন্যরা তার ঘনিষ্ট লোকজন।

 

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন আবদুল কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, রানা ও চন্দন কুমার রায়। এদের মধ্যে চন্দন কুমার রায় পলাতক ছিলেন।

 

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামি কসাই সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৩৮ | সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com