| রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার না করার ইনডেমনিটি দিয়েছে। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা করা সন্ত্রাসীদের বিচার না করার ইনডেমনিটি দিয়েছে।
রোববার (১৬ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেই আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটিকে ভিসা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আইন করে বন্ধ রেখেছে এবং পাকিস্তানি মদদদাতা আলবদর, রাজাকার, আল-শামসদের মন্ত্রী-উপদেষ্টা করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
কর্নেল বেগম জিয়াউর রহমানকে চিঠিতে যে নতুন কাজ দেয়ার কথা বলেছিল, তা ১৫ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ডের অ্যাসাইনমেন্ট কি না- সে প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরতরে নস্যাৎ করে দেয় খুনিরা।
তিনি বলেন, মীরজাফরের মতোই খুনি মোশতাককে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে ক্ষমতা হাতে নিয়েছিল জিয়াউর রহমান। খুনিদের বিচার বন্ধ করা, তাদের ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া পাঠানোসহ সব কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতির মেয়ে হয়েও তাদের নাম-পরিচয় গোপন করে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। খুনিরা বিভিন্ন দূতাবাসে আরাম-আয়েশে জীবন কাটিয়েছে। খুনিদের বিচার না করার ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান আর সন্ত্রাসীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল তার স্ত্রী খালেদা জিয়া।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১ এর পহেলা অক্টোবরের নির্বাচন একটা প্রহসনের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে বিএনপি মানুষ হত্যা শুরু করে। এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কথা আজ সবাই বলে- সবাই ভুলে গেছে যে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, খুলনায় আমাদের যুবলীগের মাসুম, শেখ হেলালের আপন মামাতো ভাই, তাকে যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছিল তাতে শেষে তার মৃত্যু হয়। এরকম শত শত লোককে হত্যা করে তারা। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে যত্রতত্র যেখানে সেখানে মানুষকে ধরে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে যুবলীগের কর্মী যাকে যেখানে পেয়েছে নিয়ে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যার বিচার হবে না। সেই হত্যার বিচার হবে না, সেই ইনডেমনিটিও খালেদা জিয়া দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রিসার্স সেন্টার দখল করে নেয়। ১৫টি কম্পিউটার, আমাদের বই, ৩শ ফাইল, নগদ টাকা সব কিছু লুট করে সিল করে দেয়। যেন আমরা সেখানে বসে কাজ করতে না পারি। একটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর পথ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে।
Posted ২২:১১ | রবিবার, ১৬ আগস্ট ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain