| বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২ | প্রিন্ট
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা অনুধাবনে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে জনগণ মনে করে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে পাঠানো উচিত।
আজ দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে দেখলাম বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল সাহেবরা সাঁতরে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন।
এর অর্থ হচ্ছে অনেক মানুষ মনে করে, তারা যেহেতু পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার সেটি করতে পারবে না বলে আস্ফালন করেছিল, সে জন্য তাদের সাঁতরে পদ্মা পার হওয়া উচিত। সেতুর ওপর দিয়ে নয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সব মানুষের জন্য এই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। তবে যারা এর বিরোধিতা করেছিল তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপি বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে, অথচ বেগম খালেদা জিয়া তো প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সেটির প্রমাণ। সেই খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর তাকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, সেটি নিয়েই এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন―এই মহানুভবতার মূল্য যারা দিতে জানে না, তাদের প্রতি এই মহানুভবতা কেন দেখাচ্ছেন? বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত।
এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকা এবং ডিআরইউ সভাপতি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান সূচনা করেন। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বক্তৃতা পর্ব শেষে বর্ণাঢ্য র্যালিতে যোগ দেন মন্ত্রী।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ তার বক্তৃতায় বলেন, ‘২৭ বছরের পথপরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়নি, যা অত্যন্ত বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি। আশা করি, আগামী ৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করলে রাষ্ট্র বিকশিত হয়, সমাজ বিকশিত হয়, উপকৃত হয়। সেই কথাটি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। গত সাড়ে ১৩ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, এখন প্রায় ৩৮টি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। আরো কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে। বেসরকারি রেডিও ছিল না, এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও, ১৮টির মতো কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে চার শ থেকে সাড়ে বারো শতে উন্নীত হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যম কত হাজার সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়। তবে আমাদের কাছে পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য।
তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি, যখন মন্ত্রী ছিলাম না তখনো পাশে ছিলাম। এখন মন্ত্রী হিসেবে পাশে আছি। সব সময় তো কেউ মন্ত্রী থাকে না, তখনো আমি আপনাদের পাশে থাকব।
Posted ১৭:৫৫ | বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain