| বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া ও তার স্বামী জিয়াউর রহমান যে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন দেশের ইতিহাসের পাতায় সেগুলো কালিমা লেপন করেছে। সেগুলো কালো অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে।
আজ দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউটের (আইডিইবি) ৪২তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হত্যাকারীদের তিনি পুনর্বাসন করেছেন। খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীকে খালেদা জিয়া বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য ইমডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিলেন হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং অফিসারকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলেন এবং লাখ-লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ছিলেন। এছাড়া হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন।,
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াও কম করেননি। খালেদা জিয়ার সময় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ছেলের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। আমাদের দলের হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই অগ্নি সন্ত্রাস ও অগ্নি বোমার রাজনীতি করেছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যে পরিমাণ নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছেন সেটি দেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। এরকম নিষ্ঠুর আচরণ খালেদা জিয়া করা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি যে সহানুভূতি ও মহানুভবতা দেখিয়েছেন এবং দেখিয়ে যাচ্ছেন এটি দেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে সহানুভূতি দেখিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া তো আদালত কর্তৃক দণ্ডিত আসামি। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা প্রসঙ্গ আসবে। তিনি ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করতেও পারেন নাও করতে পারেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা আলালের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রমাণ করেছেন তাদের নেতাদের অশালীন ও অশোভন কথা প্রশ্রয় দেয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এতে আরো প্রমাণ হয় তাদের ইন্দনেই বলছেন এবং তারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তা না হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মামলা প্রত্যাহারের দাবি করতে পারতেন না।
Posted ১০:০৬ | বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain