| বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে ‘বারবার’ প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিভাগের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকরা খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের হাতে অনেক কাজ রয়েছে। দেশের কাজ, দলের কাজ। খালেদা জিয়ার বিষয়ে বারবার একই প্রশ্নের জবাব দেব, সে সময় আমাদের হাতে নেই। এ প্রশ্নটি দয়া করে করবেন না।
খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে বারবার একই প্রশ্ন করে ‘বিব্রত’ না করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) আদালতের অধীনে আছেন, আদালত তার বিষয় ঠিক করবেন। এটি কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। এটি দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতি মামলায় যা হওয়ার আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের হাতে নেই, শেখ হাসিনার হাতে নেই। আমাদের কারও কাছে বিষয়টি নেই। আমাদের এখতিয়ারে এটি নেই। কাজেই এই প্রশ্নটি করে বারবার বিব্রত করবেন না। আমি এই প্রশ্নের জবাব আর দিতে চাই না।
মরণঘাতী ভাইরাস করোনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভাইরাসটির প্রকোপে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হতে পারে। যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, তবে করোনাভাইরাস আমাদের অর্থনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে সেই অবস্থা এখনও আসেনি। এটি যদি বেশিদিন কন্টিনিউ করে তাহলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি সাংবাদিক বন্ধুদের একটি কথা বলি। আমাদের দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ আজ বিশেষ মর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনেক কর্মসূচি রয়েছে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেক কমেছে। পেঁয়াজের দাম তো কমেছে। তবে দাম একেবারে আগের জায়গায় এসেছে এমন কথা আমি বলব না।
মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চীনের ২৫০ জন কর্মী তাদের ছুটিতে গেছেন (নববর্ষে)। আমাদের এখন যে অবস্থা এক হাজার কর্মীর মধ্যে ২৫০ জন ছুটিতে আছে। বাকিরা এখানে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের যে প্রভাব, এরপরেও তিনটি স্প্যান আমাদের বসে গেছে এবং আগামীকালও আরেকটা স্প্যান বসার কথা রয়েছে। আমরা আগামী আড়াই মাসের মধ্যে যারা ছুটির কারণে চীনে আছে, তারা ফিরে না এলে একটু সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই মাসে আমাদের কাজের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। অন্তত কমিউনিকেশন সেক্টরের অবস্থা আমি বলতে পারি।
Posted ১৬:৩৮ | বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain