| শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
আইপিএলের গতকালের উত্তেজনা ছড়ানো কলকাতা-বেঙ্গালুরুর ম্যাচে নিশ্চিত একটি দৃশ্যই ভেসে উঠবে। বিনয় কুমারের করা শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ক্রিস লিনের দুর্দান্ত ক্যাচ। শুধু ‘দুর্দান্ত’ বললেও বোধ হয় কম হয়! বললে অত্যুক্তি হবে না, ওই ক্যাচেই বদলে গিয়েছে ম্যাচের ফল। জয়ের হাসি নিয়ে ফিরেছে কলকাতা। অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে রীতিমত স্তুতিবানে ভাসছেন ২৪ বছর বয়সী এ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।
তখন দরকার ৩ বলে ৬। উইকেটে এবি ডি ভিলিয়ার্স। বিনয়ের খাটো লেংথের বল সজোরে ব্যাট চালালেন ডি ভিলিয়ার্স। খালি চোখে মনে হলো, বলের গন্তব্য সরাসরি সীমানার ওপারে। কিন্তু তখনই চমক! ডিপ মিডউইকেটে ছুটে এলেন লিন। সীমানার কাছে বল লুফে নেওয়ার আগেই পা হড়কাল। দেখলেন, বল আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর বল তালুবন্দি করতে না পারলে নিশ্চিত ছক্কা। ছক্কা হলে যে ম্যাচও হাতছাড়া! তখনই দ্রুত শরীরটাকে পেছনের দিকে শূন্যে ভাসিয়ে দুহাতে ক্যাচটি লুফে নিলেন। শূন্য থেকে মাটিতে এমনভাবে অবতরণ করলেন, তা দেখলে বিস্ময়ে বিমূঢ় না হয়ে উপায় নেই! একটু গড়বড় হলেই সীমানা ছুঁয়ে যাওয়ার শঙ্কা। কীভাবে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করলেন লিন? কীভাবেই বা সেকেন্ডের ভগ্নাংশে এতসব নিঁখুতভাবে করলেন?
মাত্রই দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে কুইন্সল্যান্ডের এ ব্যাটসম্যানের। এখনো ওয়ানডে, টেস্টে অভিষেক হয়নি। তার পরও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে যে তিনি যথেষ্ট পারঙ্গম, সেটি বুঝিয়েছেন কাল ব্যাট হাতে ৪৫ করে। ম্যাচ সেরা হওয়ার পেছনে হয়তো এ রান ভূমিকা রেখেছে। তবে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে দুর্দান্ত ওই ক্যাচটিই।
ক্যাচ দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়ে অমিতাভ বচ্চন পর্যন্ত টুইট করেছেন, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না। কেকেআরের ক্রিস লিন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম দুর্ধর্ষ একটা ক্যাচ নিলেন।’ বলিউড অভিনেতা রাহুল বোসও টুইট করেছেন, ‘প্রথমে পা পিছলে গেল। তারপর ওই অবস্থায় শরীর পেছনে ভাসিয়ে ক্যাচটা নিলেন। এক কথায় অবিশ্বাস্য ক্যাচ। সবচেয়ে খুশি হয়েছেন নিশ্চয়ই কলকাতা অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জেতার খুশিতে গম্ভীর বললেন, ‘লিনের ক্যাচটি ছিল অবিশ্বাস্য। কেবল ক্যাচের জন্যই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পারত সে।
Posted ১১:০৪ | শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin