| শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র ক্রিমিয়ায় গণভোট বন্ধের তেমন সম্ভাবনা না থাকায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেন থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার জন্য আগামীকাল রোববার এই গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। এ দিকে রাশিয়া ক্রিমিয়ায় আরো সৈন্য ও সাজোয়া যান পাঠিয়েছে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ইউক্রেনের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা প্রদানের কিয়েভের অনুরোধ পর্যালোচনা করবে। এপি ও বিবিসি।
কিয়েভের নতুন সরকারকে অবমূল্যায়ন ও সরকারবিরোধীদের উসকে দেয়ার দায়ে রাশিয়াকে দায়ী করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ নিরসনের শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে গতকাল লন্ডনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে বৈঠকে মিলিত হন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার রুশ প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ার করে দেন যে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপ সুনির্দিষ্ট মার্কিন ও ইইউ নিষেধাজ্ঞার কারণ হতে পারে। রাশিয়া এই অঞ্চলটি অন্তর্ভুক্ত করে নিলে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। অবশ্য রাশিয়া জোর দিয়ে বলছে, ইউক্রেন নিয়ে যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা মস্কোর নেই। তবে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে ক্রিমিয়ার গণভোটের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হলে রাশিয়া তাতে ভেটো দেয়ার হুমকি দিয়েছে। জাতিসঙ্ঘের একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন সরকার বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের খসড়া নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর কাছে বিলি করেছে। ওই প্রস্তাবে ক্রিমিয়ার জনগণ রাশিয়ার সাথে একীভূত হয়ে যাওয়ার পে ভোট দিলে তাকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার এ গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের সাথে বৈঠক করেন কেরি।
ক্রিমিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং গণভোটে রাশিয়ায় যোগ দেয়ার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য প্রচারণায় লিপ্ত স্থানীয় মিলিশিয়াদের উৎসাহ দেয়া বন্ধের জন্য মস্কোকে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা উত্তেজনা বিস্তার রোধের জন্য ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার কূটনৈতিক আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছেন। তবে ক্রিমিয়ায় গণভোটের ফল রাশিয়ার সাথে যোগ দেয়ার পক্ষে যাবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও সামরিক সাহায্য দেয়ার ইউক্রেনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে খবর নাকচ করে দিয়ে বলেছে, তারা এখনো কিয়েভের এ অনুরোধ পর্যালোচনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
Posted ১২:৫৮ | শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin