| রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে নানান তথ্য। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একের পর এক অভিযানে গ্রেফতার হয় আরও বেশ কয়েকজন। সবশেষ গ্রেফতার করা হলো যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার অন্যতম সহযোগী এনামুল হক আরমানকে।
রোববার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগেই তাকে আটক করা হয়েছে।
এ নিয়ে চলমান ক্যাসিনো অভিযানে ৯ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এদের মধ্যে সম্রাট ও আরমান ছাড়া সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে সম্রাটকেও আদালতে তুলে ৭ থেকে ৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে র্যাব।
চলমান ক্যাসিনো অভিযানে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রভাশালী ঠিকাদার ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরুফে জি কে শামীম, কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম, মোহামেডান ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, গেন্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু, রুপম ভুঁইয়া এবং অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান এবং সবশেষ গ্রেফতার করা হলো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে।
এদের গ্রেফতারের পর তাদের বাসা এবং অফিসে অভিযানে প্রায় সবার কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অবৈধ অস্ত্র, স্বর্ণ ও মাদক জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কী কী পাওয়া গেছে তা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে ৯ অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা আটক হলেও এখনো অধরা রয়ে গেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার ও কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। এরা দুজন সম্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসার দেখভাল করতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সাঈদ অভিযান শুরুর পর থেকে সিঙ্গাপুরে পলাতক। আর আবু কাওসার কিছুদিন দেশের বাইরে থেকে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
Posted ১৬:৪০ | রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain