| সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
জুয়া ও ক্যাসিনোর টাকা কোন কোন নেতার কাছে যেত তা খুঁজে বের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপির অনেক নেতার কাছেও এই ক্যাসিনোর টাকা গেছে।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৭৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেবেন না। শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। খুঁজে খুঁজে অপকর্মকারী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের বের করা হবে।
তিনি বলেন, ‘অন্যায়ভাবে অর্জিত অর্থ কোন কোন নেতার কাছে যেত তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। অনেক বিএনপি নেতার কাছেও এই ক্যাসিনোর টাকা গেছে, এই খবর গণমাধ্যমে বেরিয়ে আসছে। এই প্রশ্নেরও জবাব বিএনপিকে দিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা ঘর থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছেন। সারা দেশের মানুষ এপ্রিশিয়েট করছে। আর বিএনপি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, আত্মস্বীকৃত সন্ত্রাসীর দল। এটা তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দেয়ার মধ্য দিয়েই প্রমাণিত।’
দুর্নীতিবাজদের নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যা অতীতের শাসকেরা করতে পারেনি, খালেদা জিয়া পারেনি, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা তা করতে পেরেছেন। অপকর্মকারী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে যে বার্তা দিয়েছেন, বিএনপি আজকে এ বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করছে। তাদের শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত ছিল।’
‘আপনাদের আমলে বিএনপির কোনো স্তরের নেতাকর্মীদের কোনো অপরাধের জন্য শাস্তি পেতে হয়নি। আমাদের অনেক নেতাকর্মী আজকে জেলে। অনেক নেতা, এমপি, মন্ত্রী দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের মেয়র জেলে, এমপি-মন্ত্রীরা আদালতে হাজিরা দিচ্ছে। আর আমাদের দলের নেতারা দুদকের মামলায় জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার পর তিনি বলে দিয়েছেন, আমি দুদকের ওকালতি করি না,’ বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে অনেকেই নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, এটা স্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধোয়া তুলসী পাতা না। এখানে কেউ অপকর্ম, চাঁদাবাজি, গডফাদারি করে না, এটা বলছি না। আমরা ইমপিওনিটি কালচার চালু করেছি, যা বিএনপি করেনি।’
‘তারা শুরু করেছিল হাওয়া ভবন সংস্কৃতি। এই হাওয়া ভবন ছিল দুর্নীতির আখরা। হাওয়া ভবন খাওয়া ভবনে পরিণত হয়েছে। এই হাওয়া ভবন ছিল লোটপাটের খাওয়া ভবন। এই বিএনপি নেতাদের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছুই না, বলেন তিনি।
ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের দায়িত্ব পরিবর্তন হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আমি এখানে দেখতে পাচ্ছি। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, রাজনীতিকে বঙ্গবন্ধুর চির বিজয়ী আদর্শে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ এফ ফখরুল ইসলাম মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আকতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
Posted ২১:২৭ | সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain