বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কীভাবে খুলবেন, কী কী লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কীভাবে খুলবেন, কী কী লাগবে

বর্তমান সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তা খোলাও বেশ সহজ একটি কাজ। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। ব্যক্তি ছাড়াও একক বা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।

 

অ্যাকাউন্ট খুলতে সাধারণত যে ডকুমেন্ট সবারই দরকার-

  • অ্যাকাউন্ট অপেনিং ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করা এবং স্বাক্ষর করা।

  • বৈধ ইন্ট্রোডিউসার।

  • ইন্ট্রোডিউসার কর্তৃক সত্যায়িত গ্রাহকের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ফটোগ্রাফ।

  • গ্রাহক কর্তৃক সত্যায়িত নমিনির এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।

  • ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত প্রাথমিক জমা।

অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদ-কারেন্ট ডিডোজিট/ শর্ট টার্ম ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট/সেভিংস ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট।

ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট করতে যা যা লাগবে-

১. জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।

২. আয়ের উৎস প্রমাণের জন্য ভিজিটিং কার্ড/জব আইডি (গ্রাহক চাকরি করলে)

৩. ঠিকানা প্রমাণের জন্য ডকুমেন্ট যেমন -বিদ্যুৎ বিল/পানির বিল/গ্যাস বিলের ফটোকপি।

৪. ই-টিন সার্টিফিকেট (যদি থাকে)

৫. স্টুডেন্ট আইডি (গ্রাহক স্টুডেন্ট হলে)

জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট করতে যা যা লাগবে-

১. জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।

২. ঠিকানা প্রমাণের জন্য ডকুমেন্ট যেমন -বিদ্যুৎ বিল/পানির বিল/গ্যাস বিলের ফটোকপি।

৩. স্টুডেন্ট আইডি (গ্রাহক স্টুডেন্ট হলে)।

৪. আয়ের উৎস প্রমাণের জন্য ভিজিটিং কার্ড/জব আইডি (গ্রাহক চাকরি করলে)

৫. জয়েন্ট ডিক্লারেশন।

৬. ই-টিন সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি অ্যাকাউন্ট করতে যা যা লাগবে-

১. জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।

২. বৈধ ট্রেড লাইসেন্স।

৩. সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন।

৫. টিন সার্টিফিকেট।

৪. মেমোরান্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস

অব অ্যাসোসিয়েশন (এমএ অ্যান্ড এএ) অব দ্য কোম্পানি

ডিউলি অ্যাটেস্টেড বাই চেয়ারম্যান/এমডি/সেক্রেটারি

৬. অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য রেজুলেশন

৭. ডিরেক্টরদের তালিকা

পার্টনারশিপ অ্যাকাউন্ট করতে যা যা লাগবে-

১. জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র

২. পার্টনারশিপ ডিক্লারেশন।

৩. বৈধ ট্রেড লাইসেন্স।

৪. রেজিস্টার্ড পার্টনারশিপ ডিড।

৫. পার্টনারদের তালিকা

৬. টিন সার্টিফিকেট

৭. অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য রেজুলেশন।

bank2

প্রোপাইটরশিপ অ্যাকাউন্ট করতে যা যা লাগবে-

১. জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।

২. প্রোপাইটরশিপ ডিক্লারেশন

৩. বৈধ ট্রেড লাইসেন্স

৪. টিন সার্টিফিকেট।

ক্লাব/অ্যাসোসিয়েশন/ট্রাস্ট/সোসাইটি/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/মসজিদ/মাদরাসা/এনজিও অ্যাকাউন্ট করতে যা যা লাগবে-

১. জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।

২. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।

৩. বাই লজ, ট্রাস্ট ডিড।

৪. নির্বাহী কমিটি/গভর্নিং বডির মেম্বারদের তালিকা।

৫. এনজিওর অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ব্যুরো।

৬. অব এনজিওর অনুমতি

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি অ্যাকাউন্ট-

১. জাতীয় পরিচয়পত্র/বৈধ পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র।

২. বৈধ ট্রেড লাইসেন্স।

৩. মেমোরান্ডাম অন্ড আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন

অব দ্য কোম্পানি ডিউলি অ্যাটেস্টেড চেয়ারম্যান/এমডি।

৪. সার্টিফিকেট অব কমেন্সমেন্ট।

৫. সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন।

৬. টিন সার্টিফিকেট।

৭. অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য রেজুলেশন।

৮. ডিরেক্টরদের তালিকা

উল্লিখিত কাগজপত্র ও তথ্য একত্র করে যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, সে ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি প্রথমে একবার ব্যাংকের হেল্পলাইনে কল করে কথা বলে নিতে পারেন। এতে দরকারি ডকুমেন্ট জোগাড় করা সহজ হবে। আপনার প্রদত্ত তথ্য ও কাগজপত্র যথাযথ হলে অল্পসময়ের মধ্যেই ব্যাংকে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।

ব্যাংক কী: ব্যাংক মূলত টাকা জমা রাখার একটি সংস্থাকে বুঝি। ক্ষেত্রবিশেষে ব্যাংকে টাকা জমা রাখার ক্ষেত্রে মুনাফা ও পাওয়া যায়। তবে শুধু টাকা জমা রাখলেই ব্যাংকের কাজ শেষ নয়। কোনো ব্যক্তির সঞ্চয় বা প্রতিষ্ঠানের জমা রাখা অর্থকে আমানত হিসেবে সংগ্রহ করে ব্যাংকগুলো পুঁজি গড়ে তোলে। উক্ত পুঁজি উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ প্রদান বা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ব্যাংক লাভ বা মুনাফা অর্জন করে থাকে।

সচরাচর চার ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বেশি ব্যবহার হয়।

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রকারভেদগুলো

কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বা চলতি হিসাব কী: যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই ধরনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। মূলত সচরাচর অর্থ জমা রাখতে যেকোনো সময় উত্তোলন করতে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্টের জন্য সাধারণত ব্যাংক থেকে সুদ দেওয়া হয় না, বরং বাৎসরিক ফি কাটা হয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্টের জন্য ব্যাংক থেকে পাওয়া যাবে ডেবিট কার্ড, গ্যারান্টি কার্ড, চেক বুক, এমনকি ওভারড্রাফট প্রভৃতি সুবিধা।

সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা সঞ্চয় হিসাব কী: নাম শুনেই এই ধরনের অ্যাকাউন্টের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সেভিংস অ্যাকাউন্ট মূলত টাকা জমা রাখতে ব্যবহার হয়। যেকোনো ব্যক্তি একক বা যৌথ সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। সেভিংস অ্যাকাউন্টের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই বেতনভোগী কর্মচারী, পেনশন পাওনাকারী এবং শিক্ষার্থীরা। সেভিংস অ্যাকাউন্টের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এই অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট সময় টাকা জমা রাখলে ব্যাংক থেকে একটি নির্দিষ্ট অংকের মুনাফা প্রদান করা হয়।

ব্যাংকের দেওয়া মুনাফার হার দৈনিক, সাপ্তাহিক অথবা মাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে হতে পারে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই ধরনের অ্যাকাউন্টে স্বল্পমেয়াদী অর্থ জমা রেখে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

রিকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট কী: নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য কিছু পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় এবং উচ্চ সুদের হার অর্জনের জন্য রিকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতি মাসে জমা করতে হয়, যার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় পর সুদসহ মোট অর্থ প্রদান করা হয়। এই ধরনের অ্যাকাউন্টের মেয়াদ সাধারণত ছয় মাস থেকে দশ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট কী: ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট বা এফডি অ্যাকাউন্ট একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যাংকে জমা করা হয়। সাধারণ শর্ত হচ্ছে জমা করা অর্থ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্রত্যাহার বা তোলা যাবে না। (তুললে মুনাফা কম পাবে অথবা পাবে না)। প্রদেয় সুদের হার পরিমাণ, সময়সীমা, ইত্যাদি ব্যাংকভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।  সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:০০ | সোমবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com